Home / ইসলাম / আজ পবিত্র শবে ক্বদর
শবে-ক্বদর

আজ পবিত্র শবে ক্বদর

পবিত্র কোরআন মাজীদসহ সকল আসমানি কিতাব রমজান মাসে নাজিল হয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র কোরআন মাজীদ নবী করিম (দ.)-এর উপর প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসের ক্বদরের রাতে। তবে পুরো কোরআন মাজীদ এক সাথে অবতীর্ণ হয়নি। হুজুর (দ.)-এর ২৩ বছরের জিন্দেগীতে ক্রমান্বয়ে এই কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়।

নবী পাক (দঃ)-এর উপর পবিত্র কোরআনের যে ক’টি আয়াত প্রথম অবতীর্ণ হয় সে সময়টি ছিলো ক্বদরের রাত বা শবে ক্বদর। পবিত্র কোরআনে যাকে বলা হয়েছে লাইলাতুল ক্বদর। এ সম্পর্কে কোরআন মাজীদে ‘সূরাতুল ক্বদর’ নামে স্বতন্ত্র একটি সূরা রয়েছে। সে সূরাতেই বলা হয়েছে ক্বদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এখন ক্বদরের রাত কোন্টি এ সম্পর্কে সাহেবে কোরআন হুজুর (দ.)-এর ঘোষণা হচ্ছে : তোমরা রমজান মাসের শেষ ১০ রাতের যে কোনো বেজোড় রাতে ক্বদর তালাশ করো।

এ রাতের মর্যাদা ও গুরুত্ব উম্মতের কাছে অধিক হারে তোলার জন্যে নবীজী শবে ক্বদরকে গোপন রেখেছেন। যাতে উম্মত রমজানের শেষ ১০ রাত ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়। তবে হানাফী মাজহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা (র.) গবেষণা করে শবে ক্বদর ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন,পবিত্র কোরআনে লাইলাতুল ক্বদর বাক্যটি তিনবার এসেছে। আর আরবিতে লাইলাতুল ক্বদর লিখতে নয়টি অক্ষরের প্রয়োজন। ৯ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে ২৭ হয়।

২৭ রমজানের রাত হচ্ছে পবিত্র শবে ক্বদর। তাঁর এ গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তটি ইজমা ও কিয়াস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। যা ইসলামের তৃতীয় ও চতুর্থ দলিল। শবে ক্বদরে কোরআন নাজিল হওয়ায় এ রাতের এতো মর্যাদা ও গুরুত্ব। কোরআনের ভাষায় ‘খাইরুম মিন্ আলফে শাহরিন’ অর্থাৎ হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম হচ্ছে এ রাতের ইবাদত।

চাঁদপুরের নিদের্শনা ও প্রস্তুতি

এদিকে চাঁদপুর শহর ও আশ-পাশে জুমাতুল বিদা নামাজ আদায়ের জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাঁদপুরের বড় বড় ঈদগাহ জামায়াতগুলোর মধ্যে রয়েছে-হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ,চাঁদপুরের বাবুরহাট স্কুল ও কলেজ,পৌর ঈদগাহ মাঠ,পুলিশ লাইন ময়দান,আউটার স্টেডিয়াম ময়দান,পুরাণবাজার মসজিদ ,জেলা কারাগার মসজিদ,চাঁদপুর সরকারি কলেজ মসজিদ ,বেগম মসজিদ মাঠ,চিশতিয়া জামে মসজিদ, গুণরাজদী আহমাদিয়া ,পুরাণবাজার হাফেজিয়া ,সফরমালী হাই স্কুল, রালদিয়া মাদ্রাসা ,দাসাদী মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রভৃতি ।

চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো.খলিলুর রহমান আজ ৯ মে জানান,জেলার সকল মসজিদে সরকারের ধর্মমন্ত্রণালযের নিদের্শিত সকল নিয়ম ও স্বস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে করোনা কালীন মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে ।

চাঁদপুরে সকর উপজেলায় ৭ হাজার ২ শ ৪৬ টি জামে মসজিদ রয়েছে ।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট , ৯ মে ২০২১
এজি