হঠাৎ তীব্র স্রোতে মেঘনায় ভাঙনে চাঁদপুর সদর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে নদীর পাড় এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এক মাস পার হলেও কোনো ধরণের সাহায্য পায়নি।
তাদের অধিকাংশদের বসতভিটা একদিনের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন, কেউ আবার নিজস্ব অর্থায়নে কিছুটা গুটিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
ওই এলাকা গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাংলাবাজারের ২০টি, লালপুরে ২২টি, কানুদী মিয়ার বাজার ৩০টি সবজি কান্দিতে ১৫টি, পূর্ব পাড়ের মিয়ার বাজারে ১৩টি নতুন বাজারের ২০টি পরিবার বসতভিটা হারিয়ে বিপাকে রয়েছেন।
এদের কাছে কোনো প্রকার সহযোগিতা না পৌঁছানোর কারণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ক’জন ইউপি সদস্যের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ‘ক্ষতিগষÍ পরিবারদের কাছে ওয়ার্ড এর জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা গিয়েছেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানও তাৎক্ষনিক ভাঙন এলাকায় পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু তাদের কোনো অর্থ সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান শামিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি খবর পেয়ে ক্ষতিগষÍ পরিবারদের কাছে গিয়েছি। তাদের শান্তনা দিয়ে, আর্থিক সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিক চিঠি দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত ২১ আগস্ট বিকেল থেকে মেঘনার উত্তাল ঢেউ চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আচড়ে পড়ছে। ওই দিনে মোলহেডের নদীবেষ্টিত তিন থেকের বৃহৎ একটি অংশ ব্লকসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছেন, কিন্তু কোনো প্রকার সংস্কার তো দূরের কথা আর্থিক সহায়তা থেকেও বঞ্চিত থেকে গেছেন বিষ্ণুপুরের এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।