চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৭:৫৩ অপরাহ্ণ, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
২৪ জন প্রেমিককে একস্থানে হাজির করলো তাদের প্রেমিকা। তবে তিনি ডেকেছিলেন ৩২ জনকে। আটজন সেদিন হাজির হতে পারেনি। কী, পাঠক অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। কারণ এতগুলো প্রেমিককে এক সঙ্গে জড়ো করাতো সহজ কথা নয়।
গত বৃহস্পতিবার এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। আর সেই প্রেমিকদের সঙ্গে দেখা করার স্থান ছিলো ঢাকার ফুসফুস রমনা পার্কে।
আর ৩২ জন প্রেমিকের সেই প্রেমিকার নাম স্বপ্না (ছদ্মনাম)। তিনি ইডেন কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্রী। থাকেন আজিমপুর চায়না বিল্ডিং লেনে।
এদিন দুপুরে স্বপ্না তার এক বান্ধবীকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রমনা পার্কে। এরপর একের পর এক প্রেমিক জড়ো হতে থাকে সেখানে। শেষ পর্যন্ত ৩২ জনের স্থলে ২৪ জন হাজির হয় সেখানে।
স্বপ্নার বান্ধবী (নাম না প্রকাশ করার শর্তে) এই প্রতিবেদককে জানায়, ক্লাস নাইন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত স্বপ্না শতাধিক ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছে। সম্প্রতি তার বিয়ে ঠিক হয় ইতালি প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে।
আর স্বপ্না তার বিয়ের দাওয়াত দিতেই ৩২ জন প্রেমিককে ডেকেছিলেন রমনা পার্কে।
স্বপ্না জানায়, আমি সবাইকে ভালোবেসেছি একথা সত্য। তাই বলে সবাইকে তো বিয়ে করা সম্ভব না। আসলে আমাকে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি সে কষ্ট পাবে এই ভেবে। কিন্তু আজ আমি সত্যি লজ্জিত।
তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমরা সবাই আমার বিয়েতে এসে আমার জন্য দোয়া করো। এই বলেই স্বপ্না সেখান থেকে বিদায় নেয়।
সেখানেই কথা হয় স্বপ্নার প্রেমিক সাইফুলের সঙ্গে। তিনি জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রায় দুই বছর আগে। আমি রাজশাহীতে থাকার কারণে নিয়মিত ঢাকায় এসে তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। এ কারণে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না। তবে আমি কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম। তখন তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে জানতে পারি আমার আরেক বন্ধুর সঙ্গে স্বপ্না সম্পর্ক করে। তবে স্বপ্না বিষয়টি আমার কাছে অস্বীকার করে। এখন আমার ভাবতেই খারাপ লাগছে এমন একটি খারাপ মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল।
আরেক প্রেমিক মনির মোল্লা বলেন, এক বছরের সম্পর্কে আমি ৩৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি তার পেছনে। পুরোটাই লস। ছলনাময়ী স্বপ্না চলে যাওয়ার সময় সবাইকে বলে যান যে, সে যার কাছ থেকে যেটা নিয়েছে সবাইকে সে টাকা এবং উপহার সামগ্রী ফিরিয়ে দেবে। এখন কবে নাগাদ এগুলো ফেরত দেবে সেটাই দেখার বিষয়।
দপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫