চাঁদপুর শহরে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের অভাবে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। এ কারণে রান্না করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ফলে ভোগান্তি এখন ঘরে ঘরে। গত দুদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই ভোগান্তি চলছে। এই অবস্থা আরো তীব্রতর হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবস্থা রান্না করছেন মানুষ।
তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটা অচিরেই কেটে যাবে।
চাঁদপুরে এর আগে এমন গ্যাস সংকটের সমস্যা আগে দেখা যায়নি। তার উপর বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদপুর শহর ও আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এদিকে গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় দুর্বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। রান্নার কাজে গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার ও লাকড়ি ব্যবহার করছেন অনেকে। এতে মানুষের খরচ বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। গ্যাস সংকটে শনিবার দিনভর বাসিন্দাদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
গ্যাসচালিত চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকায় শনিবার সকাল থেকে চাঁদপুরসহ সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হয়েছে। চাঁদপুরের সিএনজি স্টেশন ও বাসাবাড়িতেও ছিল গ্যাসের সংকট। সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের জন্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে।
প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম,১৬ মে ২০২৩