ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবুল কালাম ছিলেন একজন প্রযুক্তিবিদ ও লেখক । তিনি ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট প্রযুক্তিতে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। প্রভাবশালী এ মানুষটি সাধারণ জীবন যাপনের কারণে ভারতবাসীর নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। শিক্ষা,মেধা,অনন্য প্রতিভা,সততা ,প্রজ্ঞাবান ও অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের ফলে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হন।
রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবুল কালাম ২৭ জুলাই ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেণ ।
জীবনধারা পালটে দেয়ার মতো দশ উক্তি-
১.স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো। স্বপ্ন সেটা যেটা তোমায় ঘুমোতে দেয় না।’
২। ‘সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।’
৩। ‘যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।’
৪। ‘যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।’
৫। প্রতিদিন সকালে এই পাঁচটা লাইন বলো :
ক) আমি সেরা।
খ) আমি করতে পারি
গ) সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমার সঙ্গে আছে
ঘ) আমি জয়ী
ঙ) আজ দিনটা আমার
৬। ‘ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।’
৭। ‘জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে পারবে।’
৮। ‘আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।’
৯। ‘উৎকর্ষতা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।’
১০ ‘যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।
গ্রন্থনা:আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১২:০১ পিএম,১৯ নভেম্বর ২০১৭,রোববার
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur