লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে টার্কি মুরগি পালন। বিদেশি এই মুরগি পালনে সাফল্যের মুখ দেখছেন নওগাঁর বেকার যুবকরা। এরইমধ্যে জেলায় ৩০টি খামার গড়ে উঠেছে।
এছাড়া দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে টার্কির খামার করেও সফল হয়েছেন এক নারী। রোগ-বালাই কম হওয়ায় সহজ উপায়ে এই মুরগি পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছেন খামারিরা।
নওগাঁর বিভিন্ন স্থানে ৩০টির মতো টার্কি মুরগির খামার রয়েছে। একটি বাচ্চা টার্কি ৬ মাস পালনের পর ডিম দেয়া শুরু করে। প্রতিটি মুরগির ওজন হয় ৬ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত। মাংস সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। তাই বাণিজ্যিকভাবে খামার করে লাভবান হচ্ছেন বেকার যুবকরা।
২০১৬ সালে ১শ’ টি টার্কির বাচ্চা কিনে খামার করেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আরজুমান আরা বেগম। বর্তমানে তার খামারে এক হাজারের বেশি মুরগি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থাও।
ঢাকা, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা বাচ্চা কিনতে এই খামারে আসেন।
টার্কির রোগ বালাই কম হয়। শাক-সবজি, কচুরিপানা ও ঘাসজাতীয় খাবার খাওয়ায় এই মুরগি পালনে খরচ কম লাগে বলে জানান খামারিরা।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাসিরুল ইসলাম জানান, টার্কি মুরগির মাংসে উপকারী চর্বি থাকায় এটি হার্টের জন্য ভালো।
এদিকে লাভজনক টার্কি মুরগি পালন দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন খামারীরা। (আরটিভি)
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:০০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ