চলতি অর্থবছরে লবণের ঘাটতি নেই : মজুত ১২ লাখ মে.টন

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, দেশে চলতি অর্থবছরে  (২০১৮ -২০১৯ ) লবণের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে যে পরিমাণ মজুদ রয়েছে, তাতে চাহিদার পুরোটাই মেটানো সম্ভব।

ঈদুল আজহার আগে ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতি বস্তা সাধারণ লবণের দাম ২ শ’ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এ ধরনের লবণের বড় গ্রাহক চামড়া ব্যবসায়ীরা।

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৪ আগস্ট ) বিসিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লবণের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানায়। ফলে লবণের দাম বাড়ারও কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন এ সংস্থার কর্মকর্তারা।

বিসিকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের মৌসুমে (গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত)  ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে।  আগের মৌসুমের আড়াই লাখ টন মজুদ রয়েছে। ফলে উৎপাদিত ও আগের বছরের মজুদকৃত লবণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার টন।

দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার টন করে লবণের চাহিদা রয়েছে। এতে সারা বছরে চাহিদা ১৬ লাখ ২০ হাজার টন।  মে থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৫ লাখ ৪০ হাজার টন লবণ ব্যবহার হয়েছে। বর্তমানে মজুদ আছে ১২ লাখ ৩ হাজার টন।

চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, এ বছর ঈদুল আজহায় সারাদেশে গরু, ছাগলসহ  ১ কোটি ১৫ লাখ পিস বিভিন্ন পশুর চামড়া হবে। এ বিপুল চামড়া সংরক্ষণে প্রচুর লবণের প্রয়োজন হয়।

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের আগে ঘাটতি দেখিয়ে বাড়তি দামে লবণ বিক্রি করে কিছু অসাধু চক্র। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি) লবণের দাম বেড়েছে ২ শ’ টাকা। এ দর বৃদ্ধির পরে প্রতি কেজি সাধারণ লবণ ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বার্তা কক্ষ 
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৩৫ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮,রোববার
এজি

Share