নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের ডক ইয়ার্ড থেকে জাহাজটিকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে রোববার দুপুর ২টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ৫০ জন যাত্রীসহ ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন… শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি,৬ জনের লাশ উদ্ধার
মৃতদের মধ্যে একজনের নাম জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫)। সে মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে। আর বাকি ৫ জনের নাম পরিচায় জানা যায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিকে আগামীকাল সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সোয়া দুইটার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় এলে এমভি রূপসী ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর নদী থেকে দুই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করে বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরিরা। এর দেড় ঘণ্টা পর এক শিশু ও বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১৫ জন।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা। তিনি জানান এ পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur