চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মতলবগামী মকবুল-২ লঞ্চে ডাকাতি মামলায় এখন পর্যন্ত চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে ঢাকার কদমতলী থানার কাজলা, মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া ও মতলবের মোহনপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সখিপুর থানার নরিসিংপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পুলিশ পরিদর্শক আল-মামুন, মতলব উত্তর থানার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক), ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবু তাহের ও ঢাকার কদমতলী থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আ. খালেক পিতা- হেলাল সরকার, ফরিদ গাজী পিতা- ছানা উল্লাহ, লোহজং উপজেলার তাজু পিতা- আজম খা, বাচ্চু ওরফে রাঙ্গা বাচ্চু পিতা- সিদ্দিক ফকির।
জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর চাঁদপুরের মতলবগামী এমভি মকবুল-২ লঞ্চ রাত সোয়া ৯টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায়। রাত ১১টায় লঞ্চটি মেঘনার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছালে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল স্পিডবোটে করে এসে লঞ্চে ঢুকে। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রের মুখে লঞ্চটির চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। এরপর যাত্রীদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, ৫০-৬০টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মকবুল-২ লঞ্চের মাস্টার আ. হামিদ বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে বেলতলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) ও ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবু তাহের জানান, এমভি মকবুল-২ নামে লঞ্চে মেঘনার গজারিয়া এলাকায় ডাকাতি হওয়ার পর মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করা হয়।
এর পর থেকে ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করে ৪ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতাররা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতাররা মকবুল-২ লঞ্চে ডাকাতি করার কথা শিকার করেছেন। বাকি ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
করেসপন্ডেট,২১ জানুয়ারি ২০২১