ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের বাবা-মা ও মেয়েসহ তিন জন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাবা-মেয়ে বাচঁতে পারলেও মা মনোয়ার বেগম (৫০) বাঁচতে পারেনি।
এ দুর্ঘটনায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেন (৬০) ও ছোট মেয়ে আমেনা আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্মম ওই দুর্ঘটনায় ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষুরবন্ধ গ্রামের বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
২৫ ডিসেম্বর শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অন্যান্যদের সাথে যাত্রী হয়ে চাঁদপুরের লঞ্চ ঘাট থেকে উঠেন এই একই পরিবারের তিন সদস্য।
পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই রাতে ঝালকাঠিতে তাদের বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে লঞ্চ যোগে রওয়ানা দেন তারা। তাদের বহনকারী এমভি অভিযান- ১০ লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে তারা তিন জনই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বাবা-মেয়ে সাঁতরে তীরে উঠলেও মা মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে শনিবার সকালে দুর্ঘনার স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মনোয়ারা বেগমের লাশ ভেসে উঠে। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহটিকে উদ্ধার করলে মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তফা তার মায়ের লাশ সনাক্ত করে। এই ঘটনায় তাদের পুরো গ্রামে এখন চলছে শোকের মাতম।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১