Home / সারাদেশ / লঞ্চের কেবিনে তরুণীর লাশ, সঙ্গে থাকা তরুণ উধাও
লঞ্চের

লঞ্চের কেবিনে তরুণীর লাশ, সঙ্গে থাকা তরুণ উধাও

তিন মাসের মাথায় ঢাকা-বরিশাল পথে চলাচলকারী লঞ্চের কেবিন থেকে আরেক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এমভি কুয়াকাটা-২ নামের লঞ্চটি বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছলে নিচতলার লস্কর কেবিন থেকে শারমিন আক্তার (২৫) নামের ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, আঙুলের ছাপ দিয়ে তরুণীর নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বিস্তারিত আর কোনো তথ্য মেলেনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শারমিন ঢাকা পলিটেকনিকসংলগ্ন তেজকুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম এনায়েত হোসেন ফকির।

গত কয়েক বছরে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ছয়জন খুন হয়েছে। এদের পাঁচজনই নারী। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লঞ্চে হত্যাকাণ্ড রোধে লঞ্চের নিরাপত্তা জোরদার এবং যাত্রীদের বিশেষ করে কেবিনের যাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, পরিচয়পত্রের নম্বর সংরক্ষণ করা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে লঞ্চ কর্তৃপক্ষেরও উদাসীনতা রয়েছে।

এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের লস্কর মো. সোহাগ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে দুই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লঞ্চের নিচতলার তাঁর (লস্কর) থাকার একটি কেবিন এক হাজার ৮০০ টাকায় ভাড়া নেন। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তাঁরা দুজন একসঙ্গে ছিলেন। শুক্রবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল নৌবন্দরে নোঙরের পর সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় স্টাফরা কেবিনের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। কিন্তু কেবিনের দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং ভেতর থেকে কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্টাফদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কেবিনের তালা খুলে ভেতরে তরুণীর লাশ দেখতে পান। তবে সঙ্গে থাকা তরুণকে পাওয়া যায়নি।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিষয়টি জানালে সেখানে বরিশাল কোতোয়ালি থানার পুলিশ, নৌ পুলিশ ও পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা আসেন। কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে। আমরা লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’

বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, পাশাপাশি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।