পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে লক্ষাধিক মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করেছেন।
শুক্রবার ২৮ মার্চ সকাল থেকে জেলা বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশের জেলা থেকে আগত হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল নামে। সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যেই বিশাল মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
মসজিদ ও মাঠে জায়গা না গেয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে শুরু করে হজীগঞ্জের পূর্ব বাজারের বড় ব্রিজ পর্যন্ত মুসল্লিদের নামাজের কাতার ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের মাঠ, পাশের আহমাদিয়া আলিয়া মাদরাসা মাঠ ও ভবন, জামেয়া আহমাদিয়া কওমি মাদরাসা ভবন,হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, বিজনেস পার্ক, প্রাইম ব্যাংক ভবন, সাবেক পৌরসভা ভবনের ওপর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।
মনে হয় যেনো পুরো হাজীগঞ্জ বাজার যেন মসজিদে পরিণত হয়েছে। লক্ষাধিক মুসল্লীর সেবা দিয়েছেন আহমাদ আলী পাটওয়ারী ওয়াক্ফ এস্টেটের প্রায় ২৫০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী । হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ওযুখানার বাহিরেও মেইন রাস্তায় ওযুর ব্যবস্থা করেন সুজন ডেকোরেটর,হাজীগঞ্জ রোটারি ক্লাব- উপজেলা প্রশাসন,হাজীগঞ্জ পৌরসভা,ব্যবসা সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে মসজিদ প্রশাসন ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
অভিভাবকদের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়তে এসেছেন শিশু-কিশোররাও। পাশাপাশি নারীদের মুসল্লিরাও অংশ নিয়েছেন অনেকেই। নামাজ শেষে দেশ, জাতি,মুসলিম উম্মাহ সহ ফিলিস্তিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করা হয়।
নামাজে ইমামতি, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মো. আব্দুর রউফ। পরে মসজিদের ভেতরে এতকাপে অংশগ্রহণকারীগণসহ অনেককেই কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-দরুদ পাঠ সময় কাটান।
একজন মুসল্লী জানান, প্রতিবছর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমাতুল বিদা নামাজ আদায় করতে আসি। হাজার হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করে, খুব ভালো লাগে। এখনকার ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। দূরদূরান্তের মানুষ সকাল থেকে এসে ভিড় করেন। স্থানীয়রা নামাজ শুরুর আগে আসেন।
অপর একজন বলেন, আমরা একসাকে কয়েকজন এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। আগে থেকে নিয়ত ছিল, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে নামাজ পড়বো। অন্য যায়গা থেকে এখানে হাজার হাজার মানুষের সাথে নামাজ আদায় করা ভাগ্যের বিষয়।
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের মোতাওয়াল্লী শাকিল আহমেদ প্রিন্স বলেন,‘ প্রতিবছর জুমাতুল বিদা আদায়ে বিশাল জামাতের আয়োজন করা হয়। এখানে দিন দিন মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যান্য বছরের চেয়েও এবারও জুমাতুল বিদার নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত মুসল্লিদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি। সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। খুব ভালোভাবে মানুষ নামাজ আদায় করেছেন বলে আমি মনে করি ।’
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০২৫