Home / চাঁদপুর / লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুরে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
লকডাউন

লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুরে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে ৭দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে চাঁদপুরে পুলিশ এবং প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজেবি ও সেনাবাহিনী। লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজেবির সদস্যরা বেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছেন।

এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারী করতে দেখা গেছে। ফলে ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে অটোরিকশা, রিক্সা, মোটরসাইকেল আর পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া তেমন কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, রিক্সা অটোরিকশা দেখলেই তা থামিয়ে যাত্রীদের ঘর থেকে বের হওয়ার কারন জানছেন।

কিন্তু এতকিছুর পরেও মানুষ প্রয়েজনে-অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বেশিভাগ বাজার করতে যাওয়া এবং চিকিৎসাসেবার কারণ দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে তাদের বাইরে বের হওয়ার কারণ একেবারে অযৌক্তিক হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের জড়িমানা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় ছাড়া দেয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আপনারা জানেন যে সারাদেশে করণা পরিস্থিতি উর্ধগতির দিকে যাচ্ছে। সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তারজন্যে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে।
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এই করোনা পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, সেখানে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেটি যাতে সবাই পালন করে সে অনুরোধ রাখছি।

লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, আমরা সবাইকে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। তারপরেও জনগণ যদি নিয়ম না মানে, তাহলে আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হব।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে ৩৩৩ নম্বরে আমাদের ফোন করে জানালে, আমরা সমাধান করার চেষ্টা করব।

উল্লেখ : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।

এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদি বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে ২১টি শর্ত দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৩ জুলাই ২০২১