করোনাভাইরাস প্রকোপ রোধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের ৩১০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন লঞ্চ মালিকরা।
সারা দেশের প্রায় সাতশ’ লঞ্চের মালিক এ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির এ পরিসংখ্যান জানিয়ে সরকারের কাছে প্রণোদনাও চেয়ে চিঠি দিয়েছে লঞ্চ মালিকদের দুই সংগঠন। ওই চিঠিতে লঞ্চ চলাচল না করায় ১১৩ কোটি টাকা লাভ থেকে বঞ্চিত হওয়াকেও ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন লঞ্চ মালিকরা।
জানতে চাইলে লঞ্চ মালিকদের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যা-প) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, আমাদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির একটি পরিসংখ্যান সরকারের কাছে জমা দিয়েছি। সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়েছি। কারণ আমাদের লঞ্চগুলো সচল রাখতে আমাদের খরচ হচ্ছে, কিন্তু আয় হচ্ছে না। সরকার ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেয়ার ঘোষণার পরও কী ধরনের প্রণোদনা চান- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সেক্টরে বিনা সুদে ঋণ চাই।
লঞ্চ মালিকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের সমিতির অধীনে একশ’র বেশি লঞ্চ সারা দেশে চলাচল করতো। এসব লঞ্চে একশ’ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়টি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যা-প) সংস্থার অধীনে সারা দেশে ৫৫০টি ছোট-বড় লঞ্চ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে চলাচল করে ২২০টি ও সারা দেশে রয়েছে ৩৩০টি।
গত তিন মাসে এ সংগঠনের অধীনের লঞ্চগুলোর মালিকদের ২১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এর মধ্যে ১১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকাই লাভের ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ লঞ্চ চলাচল না করায় খরচ বাদে এই ১১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লাভ হতো লঞ্চ মালিকদের। ওই লাভ না হওয়াটাকেও ক্ষতি হিসেবে দেখিয়ে সরকারের কাছে প্রণোদনা চাইছেন লঞ্চ মালিকেরা।
অন্যান্য যেসব খাতে ক্ষতির কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- ব্যাংক ঋণের সুদ তিন কোটি টাকা, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ৫২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, লঞ্চ রক্ষনাবেক্ষণ ক্ষতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও কয়েকটি খাতে ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। একইভাবে লঞ্চ মালিক সমিতিও ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়েছে। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ,১২ মে ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur