ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠা মেঘনার প্রচ- ঢেউয়ে চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরীঘাটসহ আশেপাশের স্থাপনা অনেকাংশে ভেঙে গেছে। ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দু’পাড়ে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে অসংখ্য মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২০ মে) থেকে সতর্ক সংকেত ৭ থাকায় এবং শনিবার সংকেত কমিয়ে ৩ এ আসার পর ভাঙন শুরু হওয়ায় ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে দু’পাড়ে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় যাত্রী হয়ে আসা ৭/৮শ মানুষ।
খবর পেয়ে শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আ. সবুর মন্ডল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসি বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী সহকারী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদসহ বিভিন্ন মহলের কর্মকর্তাগণ ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিআই ডাব্লিউ টি কর্মকর্তাদের উদ্যোগে ভাঙনস্থল দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আজ রাতের মধ্যেই ফেরী চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার রাতে আটকে পড়া যাত্রীদের অনেকেই কান্নাকাটি করছে। এদের মধ্যে বয়স্ক, অসুস্থ ও ছোট ছোট বাচ্চাও রয়েছে।
সাদ্দাম হোসেন নামে এক যাত্রী জানায়, শুক্রবার রাতে তাহার পুরো পরিবারসহ বাসের মধ্যেই রাত কাটিয়েছেন। বিদ্যুৎবিহীন বিআইডাব্লিউ টি এর পার্কিং ইয়ার্ডে যাত্রীবাহী ৬/৭টি বাসের মধ্যে সবকটি বাসেই যাত্রীরা রাত কাটিয়েছে। ডাকাত ও ছিনতাই ভয়ে যাত্রী ঘুমাতে পারেনি।
সদ নির্বাচিত হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুস সাত্তার রাড়িকেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
চেয়ারম্যানের দাবি যত দ্রুত সম্ভব বিআইডাব্লিউটিএ এর ব্যবস্থাপনায় পার্কিং ইয়ার্ডের মধ্যে একটি জেনারেটর ব্যবস্থা করা। এতে দুর্যোগের সময় আটকা পড়া যাত্রীরা অন্ধকার থেকে রক্ষা পাবে এবং চুরি-ছিনতাইও রোধ হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৩৫ পিএম, ২১ মে ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ