ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে সরকার সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তাঁর মতে,আরাকানকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঈদের আগেই প্রত্যাবাসন শুরুর লক্ষ্যেও কাজ চলছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং ১৩৮৭ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড.খলিলুর রহমান বলেন,‘আজও আমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছি,তাদের সঙ্গে কথা বলেছি,একসঙ্গে নামাজ পড়েছি। আমি তাদের বলেছি—আন্তর্জাতিক ফোরামে যেন প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তারা বলিষ্ঠ অবস্থান নেয়।’

রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ সকল ধর্ম,নৃগোষ্ঠী ও সংস্কৃতির দেশ। এ সময়টা আমাদের জন্য উৎসবের। রাখাইনদের এ চমৎকার আয়োজনে আমি অভিভূত।’অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন,শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে রমজানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস। সে সময় তিনি ঈদের আগেই প্রত্যাবাসনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমার এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়।

১৯ এপ্রিল ২০২৫
এজি