চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমারের রাখাইনে অস্ত্রবিরতির ডাক দিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার শিগগির একটি চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে দেশটির এক ডজন পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংস অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এই অভিযান ঘিরেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু হয়।
চীনের প্রস্তাব
১. প্রথম পর্যায়ে রাখাইনে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে হবে, যাতে শৃঙ্খলা আর স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয় এবং মানুষকে আর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে না হয়।
২. অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি হয়।
৩. চূড়ান্ত ধাপে রোহিঙ্গা সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে মনোযোগ দিতে হবে, যেখানে দারিদ্র্য বিমোচনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
হামলায় জড়িত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) গত ১০ সেপ্টেম্বর এক মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। আরসার এই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার। তবে তখন থেকে রাখাইনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
গত সপ্তাহে রাখাইন সফরে আরসার হামলার নিন্দা এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন দেশটির বেসামরিক সরকারের গণতান্ত্রিক যাত্রার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন। রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বাসযোগ্য তদন্তেরও আহ্বান জানান তিনি।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ৩০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ