রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন বিষয়ে আরও সুসংহত পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে ওআইসির দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশের হয়ে এ আহ্বান জানান। গতকাল রোববার সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৭তম কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইসউফউ। ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়া’ প্রতিপাদ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ ছাড়া সম্মেলনে আরো যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ ও রিয়াদ দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক।
সম্মেলনে মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকরভাবে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ওআইসির সদস্য দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা, অর্থনীতি পুনর্নির্মাণের জন্য সদস্য দেশগুলোর আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর জন্য মানবিক সহায়তার ওপর জোর দেন।
ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া তার ভাষণে বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে কোনো ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করা নয়। আমরা ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং এর যে কোনো ন্যায্যতাও অগ্রহণযোগ্য। সন্ত্রাসবাদ এ অঞ্চল ও বিশ্বব্যাপী এক অন্যতম বিপজ্জনক হুমকি। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একতাবদ্ধ হতে হবে।’
বার্তাকক্ষ,২৯ নভেম্বর,২০২০;