জাতীয়

‘রোহিঙ্গা সংকট অবসানে ভিয়েতনামের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেছেন’

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা সহকারে নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে ভিয়েতনাম সরকারের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নৈশভোজের প্রাক্কালে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াংয়ের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রপতি হামিদের বরাত দিয়ে বলেন, তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা সহকারে নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে ভিয়েতনাম সরকারের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ আয়োজিত এ নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বহু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও একমাত্র মানবিক কারণে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুবই উজ্জ্বল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এই সফরের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা এবং বিনিয়োগ আরো ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ভিয়েতনামের জনগণের মুক্তি সংগ্রাম বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছে।

দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে খুবই চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বন্ধন ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে।
ঢাকায় কুয়াংয়ের সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত এবং বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার হবে।

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বর্তমান সরকারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ভিয়েতনাম সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিমান ও জলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে আরো যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতও উপস্থিত ছিলেন।

পরে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এদিকে, ভিয়েতনামের ফার্স্ট লেডি নগুয়েন থি হিয়েন রাষ্ট্রপতি হামিদের পত্নী রাশিদা খানমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।-বাসস

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ১৫ এ.এম ৬মার্চ,২০১৮ মঙ্গলবার
এএস.

Share