কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের তিন দিনের সংঘর্ষে সাত জন নিহত হয়েছেন। ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তৃতীয় দিনের মতো লম্বাশিয়ার চারমুয়া (চৌমুহনী) তাবলিগ জামায়াতের মারকাজ মসজিদ এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। এ সময় এক আনসার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে মোহাম্মদ ও গিয়াস উদ্দিন নামে দুজনের নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও একজন গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।’
ক্যাম্পে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষ থেমে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৪ ও ৫ অক্টোবর দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন রোহিঙ্গা নিহত হন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে র্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ রোহিঙ্গাকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।