কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় হোস্ট কমিউনিটির বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশন ও দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো সুবিধা বাড়াতে আরো ১০ কোটি ডলারের অনুদান দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে – বুধবার বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে জানা যায় ।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।
ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্রকল্পের আওতায় এ অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক।
নতুন এ অনুদানে এ প্রকল্পের আওতায় ৮১ হাজার মানুষের জন্য ৪০টি বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র, জলবায়ু সহনশীল রাস্তা, ৪ হাজার সৌর বিদ্যুৎচালিত সড়ক বাতি লাগনোসহ বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এ অর্থায়ন সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা ও সমন্বয়, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রেও এ অনুদান সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন,‘ রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে তাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছি। পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় বাংলাদেশিদেরও সহযোগিতা করছি।
আমরা লক্ষ্য করছি,রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে কক্সবাজারের অবকাঠামোসহ মৌলিক যেসব চাহিদা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অনুদান সেই চাপ কিছুটা হলেও কমাতে সহযোগিতা করবে।’
এ অনুদানসহ ‘ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ প্রকল্পে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিল।
বার্তা কক্ষ , ২০ নভেম্বর ২০২০