আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের বুকে টেনে আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদলেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বুকে টেনে আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদলেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান। তিনি রোহিঙ্গা বস্তিতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়।

তার কাছে নিজেদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকে তার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি।

ক্যাম্পে তিনি ৪০ মিনিট সময় ছিলেন। এ সময় তিনি সদ্য অনুপ্রবেশ করা কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেন।

মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গা নারীদের কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন এমিনি এরদোগান। তাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোহিঙ্গারা। এ সময় রোহিঙ্গাসহ উপস্থিতদের চোখ টলমল করছিল। তখন এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

পরিদর্শনকালে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার এবং সব ধরণের সহযোগিতা করবে তুরস্ক সরকার। একই সাথে নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

তুরস্কের ফার্স্ট লেডি রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নেও সহায়তা করবেন বলে জানান।

এদিকে কক্সবাজার থেকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগানের উখিয়া-টেকনাফের যাতায়াত পথে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন। একইভাবে তার পরিদর্শন এলাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

তুর্কি ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানিয়ে সড়কগুলোকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাখে স্থানীয় প্রশাসন। বেলা আড়াইটায় তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে কুতুপালং ক্যাম্প ত্যাগ করেন।

এ সময় ক্যাম্প এলাকাসহ আশেপাশে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন।

রয়টার্সে প্রকাশিত ভিডিও

Share