দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী সোমবার সারাদেশে হরতাল ও আজ রোববার গায়েবানা জানাযা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াাত। শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২৮ মিনিটে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এই কর্মসূচির কথা জানান।
বিবৃতিতে মকবুল আহমাদ বলেন, “আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রিয় একটি নাম। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি চালুর ক্ষেত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়। চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলাদেশের জনগণ কখনো ভুলবে না। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। বর্তমান স্বৈরাচারী জালেম সরকার এ রকম একজন সৎ, আল্লাহভীরু ও যোগ্য জাতীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় জাতি গভীরভাবে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ।”
মকবুল আহমাদ বলেন, “মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। তাকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। আমি সরকারের এহেন নোংরা রাজনীতির তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মুজাহিদের সাথে যে তামাশা করা হয়েছে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলে যে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে তাতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। মুজাহিদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা শেষ সাক্ষাৎ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে দোষ স্বীকার করেননি, ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এবং প্রাণভিক্ষাও চাননি।”
জামায়াত নেতা বলেন, “মুজাহিদকে ‘হত্যা করে’ যারা জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না ইনশাআল্লাহ। মুজাহিদের প্রতি ফোঁটা রক্ত এ দেশের ইসলামী ও গণতন্ত্রমনা জনগণকে উজ্জীবিত করবে। ”
বিবৃতিতে তিনি জানান, মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে আজ রোববার গায়েবানা জানাজা ও দোয়া এবং সোমবার দেশব্যাপী হরতাল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। কর্মসূচি সফল করতে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার
ডিএইচ