করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু নিয়ে টালমাটাল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল প্রাণঘাতী এই মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
টিকা কর্মসূচির ধীর গতি এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপের অভাবে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু তীব্র রূপ নিচ্ছে।
ব্রাজিলে এর আগে করোনার দুই দফা সংক্রমণই তীব্র রূপ নিয়েছিল। প্রথম দফার সংক্রমণে ২০২০ সালের জুলাইয়ে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
দ্বিতীয় দফার সংক্রমণে এপ্রিলে প্রতিদিন তিন হাজার লোক মারা গেছেন। গত এক সপ্তাহ এ ধারা কিছুটা কমে গড়ে প্রতিদিন ১৬শ’ করে লোক মারা যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ব্রাজিলিয়ানরা তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মের জীবনে ফিরে গেছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, তৃতীয় দফায় করোনার তীব্র সংক্রমণের হুমকি আসন্ন। আবারও হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়তে পারে। খুঁড়তে হতে পারে গণকবর। লাশবাহী ট্রাকগুলো ভরে উঠতে পারে।
ব্রাজিলে করোনার টিকা প্রদানে খুব ধীর গতি চলছে। কিন্তু ঘরে থাকার মতো পদক্ষেপগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে দ্রুতগতিতে।
এছাড়া ‘গামা (ব্রাজিলিয়ান ধরন)’ এবং ‘ডেল্টা (ভারতীয় ধরন)’ এর মতো করোনার ঝুঁকিপূর্ণ ধরনগুলোও সংক্রমণকে দ্রুত করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করেছেন।
ওয়ার্ল্ডো মিটারের তথ্য অনুযায়ী মতে, ব্রাজিলে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে চার লাখ ৭৫ হাজারের মতো লোক মারা গেছেন। সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ।
মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান। তবে দেশটির প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় করোনায় ২২০ জনেরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
এদিকে করোনার নতুন হুমকির বিষয়ে ব্রাজিলিয়ানরা সচেতন নয় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো নিয়মিতই করোনা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে আসছেন।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ০৮ জুন ,২০২১;