স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অবিরাম বর্ষণে রাজধানীর অনেক এলাকায় রাস্তায় পানি জমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। চলাচলে দেখা দিয়েছে অনেকটা স্থবিরতা।
তবে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। রোববার দেশের কোথাও কোথাও রোদ উঠতে পারে। এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর-বঙ্গোপসাগরে অতিপ্রবল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ অবস্থান করছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৫ মিমি, টেকনাফে ২১৩ মিমি, কক্সবাজারে ২১ মিমি, চট্টগ্রামে ১১ মিমি, ভোলায় ২১ মিমি এবং সিলেটে ৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির ফলে দেশের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত দুই দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, রাজারবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রূপনগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মালিবাগ, মৌচাক, তালতলা, খামারবাড়ি ও খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমে যায়। বিমানবন্দরের কাছে নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার অনেক রাস্তা হাঁটুপানির নিচে চলে গেছে।
বর্ষণের ফলে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে সময় মতো পৌঁছতে পারছেন না। পথের পিচ খুলে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলছে। রিক্শাভাড়া বেড়েছে অবিশ্বাস্য হারে। অথচ সামনে ঈদ বলে মানুষের চলাচল বেড়েছে। দোকানপাটে অনেক ভিড়। রাস্তায় যানজট গেলে আছে। যানজট সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাসে ৩০ মিনিটের পথ যেতে দুই ঘন্টা লাগছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৭ মিমি, সন্দ্বীপে ৬১ মিমি, কক্সবাজারে ২৬৩ মিমি, কুতুবদিয়ায় ৯৪ মিমি, টেকনাফে ২৩২ মিমি ও সীতাকুন্ডে ৭৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আপডেট : বাংলাদেশ সময় : ১৩ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শনিবার ২৭ জুন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস ডট কম–এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি