লাইফস্টাইল

রোজায় যেভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

অনেকে সারা বছর ডায়েট করে এসে রমজানের সময় এসে ডায়েট ছেড়ে দেয়। এতে করে ওজন হু ‍হু করে বেড়ে যায় আর সারা বছরের কষ্টও বৃথা যায়। এ জন্য রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। আর সে জন্য বুঝে শুনে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন আর সেই সাথে পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খান। ফল ও শাকসবজির ওপর জোর বাড়ান। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেমন হবে রমজানের খাবার।

স্বাস্থ্যকর খাবার
রোজা রেখে সারাদিন না খেয়ে আছেন বলে এমন না যে একসাথে খুব বেশি খাবার খেতে হবে। রোজা রাখার সময় মেটাবোলিজম কমে যায় এবং শরীরের শক্তি আস্তে আস্তে কমে যায়। ইফতার শুরু করুন খেজুর দিয়ে। কারণ খেজুরে পর্যাপ্ত চিনি থাকে যা সারাদিন পর শরীরে শক্তি যোগাবে। একটা খেজুর খাওয়ায় যথেষ্ঠ, খুব ইচ্ছা হলে দুটি খেতে পারেন। রমজানে খাওয়ার সময় কম পাওয়া যায় কিন্তু এর মধ্যেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

সাহরি কখনো বাদ দেবেন না। এতে করে দেখা যায় পরদিন ইফতারে খাওয়া হয় বেশি। এ জন্য সাহরি খু্ব গুরুত্বপূর্ণ। লবণ জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে সারাদিন তৃষ্ণা লাগবে না। ভাত বা রুটি, ডিম, মুরগি, পনির, সবজি ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন সাহরিতে। সাথে দই খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ নিশ্চিত করে আর এতে করে আপনি সারাদিন ক্ষুধা বোধ করবেন না।

সচল থাকা
ইফতার ও সাহরির পর খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। যদিও ওই সময়ে হাঁটা কষ্টকর সে ক্ষেত্রে নামাজ হতে পারে এর উত্তম সমাধান। ইফতারের পর মাগরিব ও সাহরির পর ফজরের নামাজ পড়ুন। রোজা রেখে সারাদিন ঘুমিয়ে থাকার অভ্যাস বাদ দিন। স্বাভাবিক কাজকর্ম করুন। তবে রোদ এড়িয়ে চলুন। সময়মতো নামাজ আদায় করুন, কোরআন তেলাওয়াত করুন।

বেশি পানি খাওয়া
রোজায় দীর্ঘসময় পানাহার থেকে বিরত থাকায় ইফতারের পর থেকে অল্প অল্প করে পানি খান। একসাথে বেশি পানি খাবেন না। রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণের ভালো উপায় হলো পানি পান করা। ইফতারের শুরুতেই এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এভাবে কিছুক্ষণ পরপর পানি খেতে থাকুন।

১. ইফতারে দুই গ্লাস পানি পান করুন। প্রথমটা ইফতার খোলার সময় তারপর মাগরিব নামাজের পর।

২. এরপর প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি খান।

৩. সাহরিতে দুই গ্লাস পানি খান।

এই পানি পান আপনার পেট, পুরো শরীর ভালো রাখবে সেই সাথে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। চা, কফি, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব বেশি ইচ্ছা হলে গ্রিন টি খেতে পারেন।

প্রক্রিয়াজাত চিনি এড়িয়ে চলা
রোজার মাসে আপনি যদি প্রক্রিয়াজাত চিনি এড়িয়ে চলতে পারেন তবে ওজন অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা হলে দই এর সাথে ফল মিশিয়ে খেয়ে নিন, ড্রাই ফ্রুটস খান। মধু খান সেই সাথে তাজা ফলমূল খেতে পারেন।

হালকা ব্যায়াম
রোজার আগে যেমন ব্যায়াম করতেন রোজায় তা করবেন না। রোজায় হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। আপনার যদি রমজানে ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে তবে লো কার্বোহাইড্রেট ডায়েট করতে পারেন, সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম করে যতটুকু কমানো যায়।

১. ইফতারের আগে ২০ মিনিট হাঁটুন তবে আগে হাঁটার গতি যেন খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

২. ট্রেডমিলে দৌঁড়াতে পারেন ইফতারের পর।

৩. অফিস থেকে বাসার দূরত্ব খুব বেশি না হলে সকালে সাইক্লিং করে অফিসে যান।

৪. ইয়োগা করতে পারেন সেই সাথে সহজ কার্ডিওগুলো করতে পারেন রমজানে।

সবগুলো নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থেকে আপনি রমজানেও ওজন কমাতে পারবেন।

ঢাকা চীফ ব্যুরো,২০ এপ্রিল,২০২১;

Share