চাঁদপুর

রোজায় টুপি, শীতে মোজা, গরমে শরবত বিক্রি করে অর্থ উপার্জন

চাঁদপুরে টুপি, শরবত ও শীতের পোষাক মৌজা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন হবিগঞ্জের মহিবুল ইসলাম আকাশ। সৃজনশীল সময়ে তিন রকমের জিনিস হকারি করে স্ত্রী-সন্তানের মুখে অন্য তুলে দিচ্ছেন এই যুবক। তার গ্রামের বাড়ি অন্য জেলায় হলেও প্রায় ১৫ বছর ধরে চাঁদপুরে এসব বিক্রি করে প্রতিদিনের জীবিকা নির্বাহ করছেন।

প্রতিদিনই নানা রকমের টুপি হাতে চাঁদপুর শহরের বিভিন্নস্থানে দেখা মিলে মহিবুলের। এখন পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় সে টুপি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০/৯০ টাকা ধরে বিভিন্ন রকমের টুপি বিক্রি করেন সে। আর এর থেকে যা আয় হয় তাতেই চলে তার সংসার খরচ।

গত ৯ জুন শনিবার রাতে চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে প্লার্টফর্মে কথা হয় টুপি বিক্রেতা মহিবুলের সাথে। সে জানায়, তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়াকুঁড়ি গ্রামে তার বাড়ি। তার পিতা মো. দেওয়ান আলী।

প্রায় ৫ বছর আগে বিবাহ করেন। তার ঘরে স্ত্রী ও মুহাম্মদ নুরহুদা নুর নামে সাড়ে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আর স্ত্রী সন্তানের অন্য যোগাতে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন।

মহিবুল জানায়, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রথমে এ ব্যবসা শুরু করেন। তারপর আস্তে আস্তে শহরমুখী হন। এভাবেই মহিবুল প্রায় ১৫ বছর ধরে চাঁদপুরে টুপি, শরবত এবং হাত মৌজা পা মৌজা হাকরি করছেন।

গরমের সময় সে এ্যালোবেরা, উলুটকমল, টুকমার ধানা, ইউসুফকলের ভুষিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে শরবত বিক্রি করে থাকেন। শীতের মৌসমে সে শীতের পোষাক হাত মৌজা, পায়ের মৌজা, রুমালসহ বিভিন্ন ধরনের পোষাক বিক্রি করেন। আর এখন পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় দিনের বেলায় শরবত বিক্রি করতে না পেরে পুরো রমজান মাস জুড়ে টুপি বিক্রি করছেন।

এতে কখনো ১৫,শ টাকা, কখনো ৮ শ কখনো বা ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। তা থেকে যা আয় হয় তাতেই তার নিজের থাকা খাওয়ার খরচ এবং স্ত্রী সন্তানের জন্য সংসার খরচ পাঠান। মহিবুলের ইচ্ছে এভাবেই সে সততার সাথে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করবেন।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

Share