সুস্থ থাকতে কাজুবাদামের জুড়ি মেলা ভার। এই খাবারটি যে কত উপকারি নতুন করে তা জানালো ইন্টারন্যাশনাল নাট অ্যান্ড ড্রয়েড ফ্রউট কাউন্সিল। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের এক গবেষণায় জানা গেছে, হার্টকে চাঙ্গা রাখতে এ বাদামের নাকি কোনও বিকল্প নেই।
তাই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার মত ঘটনা ঠেকাতে আমাদের রোজ কিছু না কিছু কাজু খাওয়া জরুরি। বাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই উপাদানটি শরীরের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে প্রদাহ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
এখানেই শেষ নয়, বাদামে উপস্থিত ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদানটি রক্তে জমতে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়। ফলে এই দিক থেকেও হার্ট অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে। কাঁচা বা ভাজা দুভাবেই খাওয়া যেতে পারে কাজুবাদাম। কেননা দুক্ষেত্রেই রয়েছে সমান উপকার। নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শুধু হার্টের অবস্থার উন্নতি হবে, এমন নয়! শরীরের আরও বহু উপাকার হবে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: কাজুবাদামে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো নিয়মিত এই বাদমটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে: এই মারণ রোগটি যদি সাপ হয়,তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।
হাড় মজবুত করে: কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এই বাদামটি নিয়মিত খেলে হাড়ের শক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
সংক্রমণের আশঙ্কা কমে: এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে রোজের ডায়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতেই পারেন।
ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে: মাঝে মধ্যেই কি রক্তচাপ গ্রাফের কাঁটার মতো ওঠা-নামা করে? তাহলে তো চটজলদি কাজু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের অন্দরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ওজন কমায়: অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন তাহলে আজ থেকেই বাদাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি: বাদামে শরীরের থারা ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। ফলে বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বাড়তে শুরু করে। সূত্র: ইন্টারনেট
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১ : ০০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
এইউ