আছে পড়াশোনার ইচ্ছা। পরিবারের অসচ্ছলতা আর তার শারীরিক অসুস্থতাই হয়ে উঠেছে এখন জীবনের সব থেকে বড় বাধা। যার চিকিৎসা নেই বাংলাদেশের কোথায়ও। আবার অর্থের অভাবে রোগ নির্ণয় করতে পেরেও পারছে না চিকিৎসা নিতে।
তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর মোল্লা বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান। বাবার কাজের সুবিধার্থে ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরের একটি কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন কামরুজ্জামান। হঠাৎ করেই তার জীবনে নেমে এলো কালো এক অধ্যায়। হাত-পা থেকে শুরু করে পুরো শরীরের হাড়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। কামরুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা দিন দিন হচ্ছে অবনতি।
এ অবস্থায় ঝিনাইদহ জেলার কোর্ট চাঁদপুর উপজেলার কর্ণফুলী হাসপাতালে নিলে SPA নামের রোগ শনাক্ত হয় তার শরীরে।
সন্তানের চিকিৎসা নিয়ে উপায় না পেয়ে বাবা জাকির হোসেন পাড়ি দেন ভারতের বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুর এস্টিজন হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে কামরুজ্জামানের চিকিৎসা বাবদ চার লাখ টাকা খরচের কথা জানানো হয়।
কিন্তু যেখানে বাবা জাকির হোসেন শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেই হিমশিম খান, সেখানে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য কোথায়?
একদিকে ছেলে কামরুজ্জামানের পড়াশোনা করে বড় হওয়ার স্বপ্ন। অন্য দিকে SPA নামক রোগে আক্রান্ত এমন পরিস্থিতিতে কিছু বলতে চাইলেও কান্নায় ঢোলে পড়েন মা তাসলিমা বেগম।
কামরুজ্জামানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
কামরুজ্জামানের স্বপ্ন পূরণ আর এই SPA নামক কঠিন রোগ থেকে বাঁচাতে বাড়িয়ে দিন সহযোগিতার হাত। রোগ মুক্ত ও স্বপ্ন পূরণ হোক কামরুজ্জামানের। জয় হোক মানবতার।
স্টাফ করেসপন্ডেট