মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেরই স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যবহার করছেন । ইতোপূর্বে অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬ জুন সকালে ছেংগারচর পৌরসভার বালুরচর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভোর চারটায় নূরজাহান বেগমকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান রোগীর অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের ওই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের অনুমতি চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু ইউসুফ কাজী তা’ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
অসুস্থ নূরজাহান বেগমের ছেলে উজ্জ্বল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ডাক্তার আমার মায়ের অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। আমি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করলে তিনি অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে চাঁদপুর জেলা সদরে মিটিংয়ে যাবেন বলে জানান। এ কথা শুনে আমরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ভাড়া গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়ার বিনিময়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চাইলেও তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।’
চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, ‘ভোর ৪টায় রোগী আসলে শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।’
প্রসঙ্গত, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪ লক্ষাধিক মানুষের জন্য একটি অনুপযোগী অ্যাম্বুলেন্স ছিল। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম অত্যাধুনিক মানের একটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার পর থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কাজে তা’ ব্যবহার হয়ে আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু ইউসুফ কাজীর মুঠোফোনে (০১৮১৯-২৭৩৪০২) একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা’ রিসিভ করেননি বলে জানা যায় ।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:২০ পিএম, ১০ জুন ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ