রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা গড়ে যে সময় দেন সেটি এক মিনিটও নয়। আর তাতে কতটুক রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা সম্ভব।
সেটি বুঝতেই গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে। বাংলাদেশের সবচাইতে নামকরা সরকারি হাসপাতাল বলে পরিচিত এটি। সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগে ভিড় করেন সারা দেশ থেকে আসা নানা ধরনের রোগী এবং তাদের সাথে থাকা আত্মীয় স্বজন।
মোহাম্মদ আবুল কাশেম বগুড়া থেকে এসেছেন ভাতিজাকে নিয়ে। কিন্তু তাকে ভর্তিই করাতে পারেননি। অনেক দূর থেকে এসে তাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন অন্য কোথাও। নোমান গাজী ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন। পিত্তথলির পাথর হয়েছে তার চিকিৎসার জন্য। তিনি বলছেন, ডাক্তাররা বাংলাদেশে রোগীদের সময় দেন না তা ঠিকই। তা আমি নিজে প্রমাণ। কখন দেখবে এখনো বলা যাচ্ছে না। এখন থেকে প্রায় চার ঘণ্টা আগে এসেছি।”
বাংলাদেশে রোগী প্রতি গড়ে মোট ৪৮ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়। মিনিটের কাঁটায়ও তা পৌঁছায় না চিকিৎসকের সময়। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা চৌধুরীর কাছে। তিনি বলেছেন, যেমন ধরেন আমাদের রুমে আমরা এখন দুজন আছি। যদি এই রুমে ২০০ রোগী হয়, আর আমার কর্মঘণ্টা যদি আটটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ধরি তাহলে আপনি নিজেই হিসাব করুন এক একজনকে কজন করে রোগী দেখতে হয়। মূল সমস্যাই হলো জনসংখ্যা।”
শিশুদের চিকিৎসক রাজেশ মজুমদার বলেছেন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বাড়লে সেবার মানও বাড়বে।(বিডি-প্রতিদিন)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৩৫ পি.এম ৫মার্চ,২০১৮ সোমবার
এএস.