চাঁদপুর ২শ’ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অবহেলায় ঢাকায় রেফার করা আশঙ্কাজনক রোগীরা বিপাকে।
চাঁদপুর শহর এবং শহরতলীর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের কোনো কাজের আসছে অলস পড়ে থাকার সরকারি দুটি অ্যাম্বুলেন্স। চলাচলের উপযোগী হলেও চালকদের অবহেলাকে দায়ী করছেন রোগীরা।
এ ধরণের একটি অভিযোগ পাওয়া যায়, গত ৩০ মে সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের হৃদরোগ আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলামের পরিবারের কাছে।
ওই পরিবারের সদস্যরা জানান, ৩০ মে বিকেলে মুক্তিযুদ্ধা মফিজুল ইসলাম হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তারা তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক দেখে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
ডাক্তারের পরামর্শ পরিবারের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলামকে তাৎক্ষনিক ঢাকায় নেওয়ার জন্য হাসপাতালের দু’টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটির চালক মনির আহমেদ একাদিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি কিংবা তার ফোনে কে বা কারা ফোন দিলো সেটি তিনি জানার প্রয়োজন মনে করেননি।
এমনকি হাসপাতালের আরএমও ডা. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ্যাম্বুলেন্স চালকদেরকে রোগীকে ঢাকা নেয়ার বিষয়ে অবগত করলেও তারা তাতেও কোন গুরুত্ব দেয়নি।
তখন স্বজনরা ব্যার্থ হয়ে অপর চালক মফিজ মিয়াকে ফোন দিলে তিনি এ্যাম্বুলেন্সের হর্ণ নষ্ট বলে এড়িয়ে যান। পরে তারা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্াবধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন,“গত ৩০ তারিখে চালকদের এমন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। আমাদের হাসাপাতালে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স ও তার সাথের দু’জন চালকও রয়েছে। তার পরেও যদি তাদের গাফলতির কারনে রোগীদের এমন বিপাকে পড়তে হয় তাহলে’তো সেটি দু:খজনক।’
এ’বিষয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালক মনির আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অপর চালক মফিজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সেদিন তারা (উল্লেখিত রোগীর পরিবার) আমাকে ফোন দেওয়ার পর আমি হাসপাতালে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা এ্যাম্বুলেন্স যোগে রোগীকে ঢাকা নেওয়ার কথা বললে এ্যাম্বুলেন্সের হরণের সমস্যার কথা জানাই। এ’ছাড়াও তখন মনির আহমেদের ডিউটি ছিলো, আমার নয়।’
]প্রতিবেদন- কবির হোসেন মিজি