হাজীগঞ্জ

লুঙ্গী পরা হাজীগঞ্জে সেই রেল স্টেশন মাস্টারকে ওএসডি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে লুঙ্গি পরেই নিয়মিত অফিস করাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে রেলস্টেশনের কর্মকর্তা (স্টেশন মাস্টার) মো. মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শনিবার দুপুরে রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অ্যাসিসটেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন অফিসার (এটিও) মো. মনির হোসেন বিষয়টির তদন্ত করেন। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টার মো. মারুফ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি সহকারী স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-৪) শিমুল মজুমদার নিশ্চিত করেছেন। হাজীগঞ্জে রেল কর্মকর্তা : লুঙ্গি পরেই চালান অফিস টিকেটে রাখেন বাড়তি মূল্য এমন শিরোনামে চাঁদপুর টাইমসে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন লুঙ্গি পরেই নিয়মিত অফিস করেন। দূরপাল্লার টিকেটে (লাকসাম, চট্টগ্রাম) ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেশি রাখেন। গত কয়েকমাস যাবৎ রেলের গোডাউন ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করছেন। এবং রেলে সম্পত্তি (ভূমি) চাষের জন্য ইজারা এনে স্থানীয়রা ঘর নির্মাণ করছেন। অথচ তিনি এ বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।

কমার্শিয়াল অফিসার (ডিসিও) আনসার আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে পরিদর্শক পাঠিয়ে তদন্তে প্রমান পেয়েছে। মারুফ হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বর্তমানে চাঁদপুর অফিসে অবস্থানে রেখেছি। পরবর্তীতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

অভিযুক্ত ষ্টেশন মাষ্টার মারুফ হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি ভুল বুঝাবুঝি ছিল। সেই দিন রুমের ভিতরে লঙ্গী পড়া ছিল মূলত অন ডিউটিতে। এর মাঝে কি থেকে কি যে হয়ে গেলো তা আমাকে হতভাগ করেছে। বর্তমানে চাঁদপুরে রেলওয়ে কার্যালয়ে আছি।

মারুফ হোসেন সাথে কথা বলার সময়ে লুঙ্গি পরা পোশাকেই সংবাদকর্মীদের কথা বলেন মারুফ হোসেন। এ সময় একজন যাত্রী ট্রেনের টিকেট ফেরৎ দিতে এসেছেন। তিনি চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ২৬০ টাকা দিয়ে একটি টিকেট ক্রয় করেন। যার সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি ২২০ টাকা।

অথচ নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত মূল্যে ট্রেনের টিকেট বিক্রির সুযোগ নেই। এবং মার্জিত পোশাকেই অফিসে আসতে হয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কারণ, সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে এবং তা মেনেই তাদের অফিস করার বিধান রয়েছে।

এই সম্পর্কে (অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট বিক্রি) জানতে চাইলে, মারুফ হোসেন সংবাদকর্মীদের কোন জবাব দেননি। পোশাকের বিষয়ে তিনি বলন,আমি একা মানুষ। সবকিছু আমাকেই দেখতে হয়। এখন দুপুর বেলা, গোসল করতে যাবো। তাই লুঙ্গি পরা অবস্থায় আছি।

জহিরুল ইসলাম জয়,২ মার্চ ২০২০

Share