চাঁদপুরে রেলওয়ের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় রাস্তা নির্মাণ

চাঁদপুরে পর্যটন নির্ভর এলাকার রাস্তার প্রয়োজনে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় বিনা অনুমতিতে রেলওয়ে থেকে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐ স্থানে ঝুকিপূর্ণ জায়গায় একটি নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করে যাচ্ছে।

রাস্তা নির্মাণের জায়গাটি রেলওয়ে নিজস্ব সম্পত্তি হওয়ায় চট্রগ্রাম বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি টিম রাস্তা নির্মাণ স্থান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ছাড়াও প্রতিনিধি টিম চাঁদপুর রেলওয়ের চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ের সম্প্রসারিত প্লাটফর্ম,বিভিন্ন স্থান, স্থাপনা ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক ব্যবসায়ীদের মাছ ঘাটে ট্রাক চলাচলের নতুন রাস্তা নির্মাণ বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।

এ তদন্ত টিম ২৮ জুন সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্নস্থানও ঘুরে ঘুরে পরিদর্শনকালে তদন্ত টিম পরিদর্শন শেষে রেলওয়ে রেস্ট হাউজে বসে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সবাই এক সাথে আলোচনায় মিলিত হন।

হঠাৎ সেখানে রেলওয়ে রেস্ট হাউজে এসে উপস্থিত হন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ও পৌর মহিলা কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস,হেলাল হোসাইন, পৗর কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম।

এ জনপ্রতিনিধিরা সেখানে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বড় স্টেশন মোলহেডটি চাঁদপুরবাসীর জন্য কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তা তাদের নিকট অবহিত করেন।

এ সময় চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধিরা মাছ ঘাটের ট্রাক চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক নতুন রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি জেলা প্রশাসন দ্বারা করা হয়েছে যা ঠিক হয়নি বলে জানান।

তখন জনপ্রতিনিধি বলেন, পৌরসভা থেকে এ কাজটি মেয়র মহোদয় নিজে করলে রেলওয়ের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করতেন, তাতে এই কথাগুলো আজ আসতো না এবং ভুল বুঝাবুঝিরও সৃষ্টি হতো না বলে জানান।

এ সময় মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল উপস্থিত রেলওয়ের তদন্ত টিমের নিকট কথা দিয়েছেন, খুব সহসাই তিনি চট্টগ্রামে উর্ধবতন কর্মকতাদের সাথে বসে সকল বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকি মোলহেড এলাকার পর্যটন নির্ভরস্থানটিতে যাতে রেলওয়ের বড় ধরনের কোন স্থাপনা নির্মাণ করা না হয়, সে বিষয়টি ব্যখ্যা করেন বুঝানোর চেষ্টা করেন।

এ সময় রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেয়র মহোদয়ের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং তা লিপিবদ্ব করেন।

এক পর্যায়ে তদন্ত টিমের সত্যজিৎ দাস বলেন,রেলওয়ের উপরের নির্দেশেই মাছ ঘাটে ট্রাক চলাচলের নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজের বিষয়টি কতটুকু সঠিক তা আমাদের টিম দেখতে এসেছে। এই বিষয়টি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রকে চট্টগ্রামে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করার সময় তারাও থাকলে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান।

তদন্ত টিম ও জনপ্রতিনিধিরা একমত হয়ে বলেন, আমরা সবাই দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করছি। সুতরাং সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করলে তাতে আর ভুল বুঝাবুঝি থাকবে না বলে একমত পোষণ করেন।

চট্রগ্রাম বিভাগীয় ৮ সদস্যের টিম ছিলেন, রেলওয়ে এসিসটেন্ট কমান্ডেন্ট (আরএনবি) চট্টগ্রাম সত্যজিৎ দাস, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোরসালিন, সহকারি স্টেট অফিসার মোঃ শহীদুজ্জামান, এসএসএই(ওয়ে) লাকসাম মোঃ লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (পূর্ত) লাকসাম আতিকুর রহমান আখন্দ, কানুনগো লাকসাম কায়সার হামিদ চৌধুরী, চিপ ইন্সপেক্টর (আরএনবি) লাকসাম মোঃ এয়াসিন ও এসএসএই (কার্য) লাকসাম আতিকুর রহমান ।

পরে বিকেলে রেলওয়ে মটর ট্রলি যোগে চট্রগ্রাম বিভাগীয় ৮ সদস্যের টিম চাঁদপুর ত্যাগ করেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট,২৮ জুন ২০২১

Share