চাঁদপুরে রেলওয়ের সম্পত্তির ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভূমি কর বকেয়া

চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় রেলওয়ের সম্পত্তির ৮ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার ১ শত টাকা উন্নয়ন ভূমি কর বকেয়া পড়ে আছে। বছরের পর বছর পার হলেও এই উন্নয়ন ভূমি কর পরিশোধ করছেন না চাঁদপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় খবর নিয়ে জানাযায়, চাঁদপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার শাহাতলী, তরপুরচন্ডী, রামপুর, দেবপুর সহ বিভিন্ন স্থানে থাকা রেলওয়ের সম্পত্তির প্রতিবছর যে ভূমি কর পরিশোধ করার কথা। তা বিগত কয়েক বছরে বকেয়া পড়ে আছে।

বিগত কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকা ভূমিকর বকেয়া পড়ে থাকলেও এর মধ্যে গত বছর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছে বলে জানা যায়।

চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিস থেকে জানা যায় ১৩৬৩ থেকে ১৪১১ বাংলা পর্যন্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার জমির খাজনা দেয়নি। তারপর ১৪১২ বাংলা থেকে ১৪১৬ বাংলা পর্যন্ত তারা কিছু খাস না দিয়েছে। সেই থেকে আজও পর্যন্ত চাঁদপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিসে কোন প্রকার জমির খাজনা দেয়নি বলে জানা গেছে।

চাঁদপুর পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোঃ লতিফ মিয়া গাজী জানান, চাঁদপুর পৌর এলাকায় ও সদর উপজেলায় বিভিন্ন খতিয়ানে রেলওয়ের মালিকানা খতিয়ান রয়েছে। সেই সব খতিয়ানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বহু বছর ধরে কোন প্রকার জমির খাজনা পরিশোধ না করায়, আমরা প্রতি বছর এ নোটিশ এবং ডিমান্ড পাঠাই। কিন্তু আজও তারা কোন প্রকার ভূমি কর আমাদেরকে দেয়নি।

এদিকে বিভিন্ন অভিজ্ঞজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যদিও আইনগতভাবে নিয়ম রয়েছে তিন বছরের ঊর্ধ্বে যদি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান জমির খাজনা না দেয়। তাহলে সে জমি সরকারি খাসজমি হিসেবে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর রেলওয়ের সম্পত্তির ভূমিকর বকেয়া রেখেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান,কয়েক বছরের ভূমি কর পরিশোধের বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া সদর উপজেলা এসিলেন্টকেও এ বিষয়ে তাদেরকে তাগিদ দেওয়ার জন্য অবগত করা হয়েছে।

এবিষয়ে রেলওয়েল লাকসাম কানুনগো কাউসার হামিদের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য দেয়ার তেমন কিছু নেই। রেলওয়ের সম্পত্তির বিষয়ে বক্তব্য দিবে আমাদের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা।

পরে তার কথামতো রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিক বার কল দিলেও তিনি কোনোভাবেই কল রিসিভ করেননি।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৪ জুলাই ২০২১

Share