Home / জাতীয় / রেডিও-টেলিভিশন প্রতিটায় হট টক: প্রধানমন্ত্রী
রেডিও
ফাইল ছবি

রেডিও-টেলিভিশন প্রতিটায় হট টক: প্রধানমন্ত্রী

দলের উপজেলা পরিষদের সঙ্গে বৈঠককালে বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার প্রচুর বেসরকারি টেলিভিশন অনুমোদন দিয়েছে। এখন তারা কথা বলার সুযোগ পেয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছেন।’ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই ইচ্ছেমতো কথা বলছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সরকারি টেলিভিশন আর একটি রেডিও ছিল। আমরা এখন প্রচুর টেলিভিশন আর রেডিও করে দিয়েছি। প্রতিটায় হট টক। অমুক সমুক। কথাবার্তা। সবই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমি মুখ খুলে দিয়েছি। এত জায়গা করে দিয়েছি বলেই তো কথা বলতে পারছেন। নইলে তো কথা বলতে পারতেন না। সারা দিন বলেন বাকস্বাধীনতা নেই। এতগুলো টিভিতে টক টক কথা বলেন। এই কথাগুলো আসতো কোত্থেকে?’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই স্যোশাল মিডিয়ায় ইচ্ছামতো বলতে পারছে আর বক্তৃতা দিতে পারছে। স্যোশাল মিডিয়ায় কথা বলার সুযোগ কই পেতেন যদি আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম?’

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রী সবই তো আমরা নিজেদের টাকায় কিনে বিনা পয়সায় সরবরাহ করেছি। প্রতিটি টাকা খরচ করেছি মানুষের জন্য। পানির মতো আমরা টাকা খরচ করেছি। কখন কী নিয়ম মানতে হবে, অত দেখার সময় আমাদের নাই। এটা ছিল ইমার্জেন্সি। এক্ষুনি আমর ওষুধ কিনতে হবে। সোজা বিমান পাঠিয়ে নিয়ে এসেছি। প্লেন পাঠিয়ে সিরিঞ্জ নিয়ে এসেছি। ভ্যাকসিন সংরক্ষণে কুলিং সিস্টেম প্রয়োজন পড়েছে। এগুলো আমরা কিনেছি, ভাড়া করেছি। করোনা টিকা প্রদানের কেন্দ্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই খরচগুলোর বিষয় কারও এতটুকু নজর আছে?’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পত্রপত্রিকায়-মিডিয়া এখন দেখি সবাই একই কথা বলে বেড়ায়। তারা কি কখনও খুঁজে দেখেছেন কী কী আমরা করেছি, কীভাবে করেছি? দুর্নীতি দুর্নীতি, এটা সেটা, টাকা গেল কোথায়? টাকা তো সব মানুষের জন্য খরচ হয়েছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করার জন্য তো ক্ষমতায় আসেনি।’

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোড মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সারা বিশ্বে সমাদৃত আর চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে তাদের ভালো লাগে না। অগণতান্ত্রিক একটা কিছু হলে তাদের মূল্যটা বাড়ে। এটাই তারা ভাবেন। বাংলাদেশে সেই খেলাই খেলতে চায় তারা। বারবার সেই খেলা চলেছে দীর্ঘদিন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে আবার সেই মর্যাদা পেয়েছে। এর আগে তো বাংলাদেশের নাম শুনলে দুর্ভিক্ষ, ঝড়, দরিদ্র ইত্যাদি ছোট চোখে দেখতো। এখন তো আর কেউ ছোট চোখে দেখতে পারে না।’

বার্তা কক্ষ, ১৯ নভেম্বর ২০২২