রেজিস্ট্রেশন না করে সিএনজির সামনে পেছনে প্রেস লিখে চাঁদপুর জেলার সড়ক দাবিয়ে বেড়াচ্ছে কথিত সাংবাদিক তানজিল শাহরিণ অনিক। সে সিএনজির সামনের ও পেছনের অংশে অনিক পরিবহন প্রেস লিখে জেলার বিভিন্ন সড়কে ছুটে চলছে। সে চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার কোন সদস্য নয়। কথিত এই সকল সাংবাদিকদের কারনে প্রকৃত সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
চাঁদপুর যত্রতত্র দেখা যায় প্রেস স্টিকার লাগানো গাড়ি। সংবাদ কর্মীরা এখন প্রেস স্টিকার লাগাতেও অনেকটা ভয়ের মধ্যে থাকেন। কেননা চাঁদপুর মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহনে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে অপরাধীরা। মোটর গেরেজের শ্রমিক থেকে শুরু করে সিএনজি, অটোরিকশা চিহিৃত অপরাধীদের মোটরসাইকেলে এখন শোভা পাচ্ছে প্রেস লেখা স্টিকার। রেজিস্ট্রশনবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে দাবী জানান সাংবাদিকরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অখ্যাত কিছু পত্রিকা ও অনলাইনের কার্ডধারীরা তাদের স্বার্থ্যহাসিল করছেন।
রোববার সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সামনে প্রেস স্টিকার লাগানো একটি সিএনজি চোখে পড়ে। যার সামনে পেছনে অনিক পরিবহন ও প্রেস লিখা ছিল। পরে চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় এই সিএনজির মালিক কথিত সাংবাদিক তানজিল শাহরিণ অনিক। এই নামে লাইসেন্সবিহীন ৮/১০ টি সিএনজি সড়কে চলাচল করে। তার কারনে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম অনিক কে ভেবে অনেকে ফোনে ও সরাসরি বিভ্রান্ত করে থাকে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম অনিক জানান, আমি প্রায় একযুগ ধরে চাঁদপুরে সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করছি। চাঁদপুর দর্পণ ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজ করছি। এছাড়া চাঁদপুর প্রেসক্লাব সদস্য ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়শন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচিত সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। সিএনজিতে অনিক পরিবহণ লিখা দেখে মিষ্টির দোকানদার, ডিস ক্যাবলের লাইনম্যান, ট্রাফিক পুলিশসহ বিভিন্ন মানুষ ফোন করে বিরক্ত করে থাকেন।তবে আমার ব্যক্তিগত একটি সাইকেলও নেই।
এ বিষয়ে জানতে তানজিন শাহরিণ অনিকের ব্যবহ্নত মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ বলেন, রেজিস্ট্রশনবিহীন সিএনজিতে প্রেস ব্যবহার করে সড়কে চলতে পারে না। গণ পরিবহণের ক্ষেত্রে তো হবেই না।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ১ জানুয়ারি ২০২৩