বৃক্ষের পরিচয়টা সাধারণত ফল দিয়েই হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এক ক্রিকেট মাঠে কিন্তু বৃক্ষের পরিচয়টা পাওয়া যায় সেঞ্চুরিতে!
অবাক হচ্ছেন? উইনবার্গের এই মাঠে শতক হাঁকাতে পারলেই একটা করে গাছ লিখে দেওয়া হয় সেঞ্চুরিয়ানের নামে। ঠিক যেভাবে লর্ডস অনার্স বোর্ডে নাম ওঠে শতক করা ব্যাটসম্যানদের।
উইনবার্গ বয়েজ হাই স্কুলের মাঠের গাছগুলোতে লেখা থাকে শতক হাঁকানো ক্রিকেটারটার নামই। সবুজে ঘেরা এক মাঠের পাশ দিয়ে আপনি হেঁটে যাচ্ছেন। গাছগুলোর গায়ে লেখা নামগুলো আপনার চোখে পড়বেই।
কেপটাউন শহরের এই স্কুল মাঠটার অবস্থান একদম পাহাড়ের কোল ঘেঁষেই। অসংখ্য গাছপালায় ঘেরা সবুজ এই মাঠের নামটা রাখা হয়েছে সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের নামে। এই উইনবার্গের বয়েজ হাই স্কুলেই কৈশোর আর শৈশবটা কেটেছিল এই কিংবদন্তীর। তাই মাঠের নামটা রেখে দেওয়া হয়েছে জ্যাক ক্যালিস ওভাল।
সেই জ্যাক ক্যালিস ওভাল মাঠের অদ্ভুত এক নিয়ম নজর কেড়েছে সবার। কোন ব্যাটসম্যান যদি শতক হাঁকাতে পারেন এই মাঠে, আশেপাশে তাঁর বেছে নেওয়া যেকোনো একটা গাছে খোদাই করে লিখে রাখা হবে সেই ব্যাটসম্যানের নামটা। গাছটাও হয়ে যাবে সেঞ্চুরিয়ানের মালিকানাধীন।
এমন নয় যে এই মাঠের সূচনালগ্ন থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে এমন নিয়মের শুরুটা করেছিলেন উইনবার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিথ রিচার্ডসন। শুধু ব্যাটসম্যানরাই নন, বোলাররাও নিজেদের নামে লিখে নিতে পারেন গাছ। তবে পেতে হবে ইনিংসে কমপক্ষে সাত উইকেট।
মজার ব্যাপার, যার নামে এই মাঠের নামকরণ সেই জ্যাক ক্যালিস মালিক হতে পেরেছেন মাত্র তিনটি গাছের। প্রোটিয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রিচার্ড লেভি ১২ সেঞ্চুরিতে হয়েছেন ১২টি গাছের মালিক।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের লড়াইয়ে ২৫ রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়ে পেসার কাগিসো রাবাদা তো জোর করে গাছে লিখিয়েছেন নিজের নামটা।
যদিও এই স্কুল থেকে উঠে আসা সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়টা খেলতেই পারেননি জাতীয় দলের জার্সিতে। ডমিনিক তেলো নামের সেই ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ১৩টি গাছে লিখিয়েছেন নিজের নাম।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur