স্কুল শিক্ষক মো.আবুল কালাম আজাদ, জলকুড়ি স্কুল থেকে ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী ( ময়নার মোড়) একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
তিনি স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রাইভেটও পড়াতেন।
কিন্তু, সংসারের হাল ধরতে গিয়ে এখন তিনি রিকশা চালক।, রিকশা চালিয়ে উপার্জন করছেন।
লোক মুখে মানুষের কাছে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে তিনি কর্মে বিশ্বাস করেন।
তার দাবি গত ৩ মাসের মধ্যে সরকারি কোনো সাহায্য তার ভাগ্যে জোটেনি।
উনার তিন ছেলে অধ্যায়নরত। বড় ছেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ২য় মো.জাকির হোসেন এবং ৩য় মোঃ মাসুদ আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
এরা সবাই প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ এবং সংসারের হাল ধরেন।
কিন্তু, বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় তাদের প্রাইভেট পড়ানোও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পাশে দাড়িয়েছেন পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় বিত্তবানরা ।
পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান তাৎক্ষণিকভাবে ২০ কেজি খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন, ১ মন চাল, ১০ কেজি তৈল, ১২ কেজি আলু , ৮ কেজি ডালসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন ।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওই শিক্ষকের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সবধরনের সহযোগীতা ও শিক্ষকের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণের আশ্বাসও দেওয়া হয়।
বার্তা কক্ষ, ১২ জুন ২০২০