রিকশাচালক সোলেমান মিয়ার প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও সন্তানদের ঘর পাওয়ার আকুতি

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন কচুয়ার আটোমোড় গ্রামের সোলেমান মিয়া। দীর্ঘ কয়েক বছর রিকশা চালানোর মতো হাড় ভাঙ্গা কষ্ট করলেও এখন বয়স বেড়ে যাওয়ায় পরিশ্রমের কাজ করতে পারেননি ষাটউর্ধ্ব সোলেমান মিয়া। একদিকে নিজের থাকার ঘর নেই, অন্যদিকে নিজে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে পা ভেঙ্গে প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

এছাড়া স্ত্রী রেহেনা বেগম প্রায় ১০ বছর ও বড় ছেলে হাসান মানষিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় চিকিৎসার বোঝা টানছেন তিনি। বলছিলাম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের আটোমোড় পূর্বপাড়া স্বর্ণকার বাড়ির মৃত শামছুল হক মিয়ার পুত্র সোলেমান মিয়ার কথা। বর্তমানে তার তেমন পৈত্রিক জমি-জমা না থাকলেও বাড়িতে ঘর করার মতো একটু জায়গা রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে তার অপর ভাইদের সাথে যোগাযোগ করে ঘর নির্মাণের জন্য ওই জায়গা ভরাটের উদ্যোগ নিলেও বর্তমানে অর্থের অভাবে ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন সোলেমান মিয়া ও তার অসহায় পরিবার।

অসহায় রিকশা চালক সোলেমান মিয়া জানান, আমার দু:খের শেষ নেই। একসময় রিকশা চালাতে পারলেও বর্তমানে পাঁ ভেঙ্গে যাওয়ায় তা চালাতে পারছি না। এছাড়া মানষিক রোগে আক্রান্ত স্ত্রী ও এক সন্তানকে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিনা। এসময় তিনি একটি ঘর নির্মাণে কান্না জনিত কন্ঠে সকলের সহযোগিতা চান। তাকে কেউ স্বেচ্ছায় ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৬৫-২২৭৪২২ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।

সোলেমান মিয়ার ভাই লোকমান হোসেন ও কামাল হোসেন বলেন, আমরা ৫ ভাই। সোলেমান মিয়া আমাদের সকলের বড়। আমাদের সকলের আর্থিক সমস্যার কারনে ভাইকে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করতে পারছি না। আমার ভাই তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শেষ বয়সে একটু সুখে শান্তিতে থাকতে একটি ঘর নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সকলের নিকট জোড় দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩১ মার্চ ২০২৪

Share