ডেস্ক:
আদালত অবমাননার দায়ে আওয়ামীলীগের মুখপত্র ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকার সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে দেয়া রায় গ্রহণ করেছি ও মেনে নিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন এই দুই সাংবাদিকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আপিল বিভাগ থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আদালত আমার এই দুই মক্কেলের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছেন তা আমরা গ্রহণ করেছি ও মেনে নিয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপনারা রিভিউ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, রায়ের লিখিত কপি বের হওয়ার পর আমি আমার মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউসহ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এ সময় সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত অবমাননার দায়ে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের আজকের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে এ রায় দেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালত তার রায়ে বলেন, আদালত অবমাননার দায়ে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে অভিযুক্ত করা হলো। আদালত অবমাননার দায়ে এই দুইজন আজ আদালত চলাকালীন সময় পর্যন্ত আদালতের এজলাসে অবস্থান করবেন যেটি সাজা হিসেবে গন্য হবে। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জনকণ্ঠের এ মামলাটি বহস্পতিবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বরে ছিলো।
আজ আদালতে আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও স্বদেশ রায়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যঅটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।