Home / জাতীয় / রায়ের পর বিচারক পরিবর্তনের ঘটনায় তোলপাড় : হাইকোর্টের রুল
মোবাইল ফোনে মামলা পরিচালনার কথা চিন্তা করছে হাইকোর্ট
ছবি : হাইকোর্ট

রায়ের পর বিচারক পরিবর্তনের ঘটনায় তোলপাড় : হাইকোর্টের রুল

পিরোজপুরের সাবেক এমপি এ কে এম আবদুল আউয়ালের জামিন নামঞ্জুরের পর জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজের ঘটনায় তোলপাড় চলছে সর্বত্র। বিচারকের এ বদলি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি বলেছে, এ ঘটনা দেশে আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। এদিকে সাবেক এমপি আউয়ালের জামিন নামঞ্জুর ও পরে মঞ্জুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি চলছে এলাকায়। গতকাল তিনি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউলক করিম প্রভাব খাটিয়ে তার জামিন নামঞ্জুরে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও মন্ত্রী এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জামিন নামঞ্জুরের পর কে বা কারা প্রভাব খাটিয়ে বিচারক বদলি করেছে এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেনি সাবেক এই এমপি’র কাছে।

এদিকে এ ঘটনাকে আইনজীবীরাও নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিচারক আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ-এর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন। পিরোজপুর জেলা জজ আব্দুল মান্নানের বদলির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

তিনি বলেন, জামিন খারিজের পর বিচারক বদলি, ৪ ঘণ্টার পর নতুন বিচারকের আদালতে জামিনের ঘটনা দেশে এই প্রথম। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এটি একটি খারাপ নজির, খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কেননা প্রথমে একজন বিচারক সাবেক ওই এমপির জামিন খারিজ করলেন, এরপর চারঘণ্টার ব্যাবধানে ওই বিচারককে রিলিজ দিয়ে আরেক বিচারককে জেলা জজের দায়িত্ব দেয়া হলো। এরপর তার জামিন হলো। এ ব্যাপরে সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, বিচার বিভাগ যে স্বাধীন নয়, এটি তারই প্রমাণ। তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগ, বিশেষ করে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের অধীনে অর্থাৎ সরকারের অধীনে।

হাইকোর্টের রুল: এদিকে, হাইকোর্ট জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহারের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নজিরবিহীন এই ঘটনায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নানের স্ট্যান্ড রিলিজ বা তাৎক্ষনিক বদলির আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট । আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।

তবে রুল জারির আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটনি জেনারেল এএফ হাসান আরিফের মতামত শোনেন আদালত। মতামতে তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা আদালত বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এরপর হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। এর আগে, আদালতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন ও অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। এ দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। পরে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ মানবজমিনকে বলেন, পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের বিচারকের স্ট্যান্ড রিলিজ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনি। এরপর আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আগামী বুধবারের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।

তার আগে গতকাল সকালে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে যান ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। সে সময় আদালত বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মুনির ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। পরে আদালত তাদের বলেন, এটা প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন। কী হয়েছে আমরা জানি না।

প্রধান বিচারপতি জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির প্রধান। এদিকে একই বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকের্টের অপর আরেকটি বেঞ্চ বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের নজরে আনেন। আদালত রিট করার পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি গ্রহণ করেননি।

পরে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা। রিলিজ করে তার অধীনস্থ একজন যুগ্ম জেলা জজকে দায়িত্ব দেয়া হয়! কিন্তু সারাদেশে যারা জেলা জজ আছেন, তারা মানসিকভাবে কী চিন্তা করছেন। আমি বলেছি, প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য যে চেষ্টাটা করে যাচ্ছেন, যতটুকু পারা যায়, চেষ্টাটার মধ্যে এটা কি একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না? এটা সরকারকে কি বিব্রত করছে না? আমি বলেছি এটা আপনারা (হাইকোর্ট) ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করলে করতে পারেন। তখন তিনি (আদালত) রিটে যেতে বলেন।

এদিকে, পিরোজপুরের জেলা জজ আব্দুল মান্নানকে বদলির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। জামিন খারিজের পর বিচারক বদলি, ৪ ঘণ্টার পর নতুন বিচারকের জামিনের ঘটনা আমার জানামতে দেশে এটিই প্রথম। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শকক্রমে আইনমন্ত্রণালয় বিচারক বদলি বা প্রত্যাহার করতে পারে। কিন্তু আইনমন্ত্রণালয় পরামর্শ নিয়েছে কিনা জানিনা।

যদি পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে, সেক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বিচারক বদলির এই ঘটনা বিচারবিভাগের ওপর জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বদলি করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বদলির এ ঘটনা বিচারবিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা। জজ সাহেব যার জামিন বাতিল করেছিলেন, ওই আদেশের বিরুদ্ধে তার আইনজীবীরা রিভিউ করতে পারতেন। কাউকে জামিন না দিলে সংশ্লিষ্ট্রের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন, তর্ক বিতর্কও হতে পারে।
বিচারব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত: টিআইবি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুরের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিচারকের তাৎক্ষণিক ওএসডিসহ বদলি, এবং কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারপ্রাপ্ত জজ কর্তৃক জামিন মঞ্জুরের ঘটনা বাংলাদেশের অধন্তন আদালতের বিচারিক ইতিহাসে বিরল ও ভয়াবহ দৃষ্টান্ত বিবেচনা করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে, দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের সম্ভাবনা বিকাশের স্বার্থে বিচার বিভাগকে কার্যকরভাবে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, দুদক’র মামলায় জেলা ও দায়রা জজ কর্তৃক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে, তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিচারককে ওএসডি ও বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা এবং কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভারপ্রাপ্ত জজ কর্তৃক জামিন মঞ্জুরের ঘটনা অভূতপূর্ব, যা দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করার এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ঘটনা আদালতের ওপর নির্বাহী বিভাগ ও রাজনৈতিক প্রভাবের ব্যাপক বিস্তার, প্রভাবশালীদের হাতে আইনের শাসনের জিম্মি হওয়া ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ক্রমাগত বিকাশে তৎপর স্বার্থান্বেষী মহলকে আরো ক্ষমতায়িত করবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি এ ধরনের আত্মঘাতী পথ পরিহার করে বিচার বিভাগকে বাস্তবেই স্বাধীন করার উপযোগী কার্যকর পথ অনুসরণের জন্য আহ্বান জানাই।

পদত্যাগ দাবি আইনমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যানের: সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিচারক আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ-এর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকারের নির্দেশে যেকোনো ব্যক্তির জামিন হতে পারে বা সরকার চাইলে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করতে পারে। কিন্তু তা না করে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল মান্নানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব দেয়ার ৪ ঘণ্টা পর সাবেক এমপি আবদুল আউয়াল ও তার স্ত্রী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই তাদের দুর্নীতির মামলায় জামিন দেয়া হয়। খোকন বলেন, আদালত জামিন বাতিলের আদেশের সঙ্গে সঙ্গেই আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে (মো.আবদুল মান্নান) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজের পদ থেকে প্রত্যাহার করে (স্ট্যান্ড রিলিজ) আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

পরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি এ দু’জনকে জামিন দেন। এ ঘটনা স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। আইনমন্ত্রী অযাচিতভাবে সাবেক এমপির জামিন নিশ্চিত করার জন্য পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে বদলি করেন। জামিন কেলেঙ্কারি দেশের সাধারণ জনগণের বিচার বিভাগের উপর আস্থা নষ্ট করেছে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে, আইন সচিব, যুগ্ম সচিব ও জামিন প্রদানকারী বিচারককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের দাবি জানান।

আওয়ালের সংবাদ সম্মেলন: পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল। বুধবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত অভিযোগ করে তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুদকে মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নানকে প্রভাবিত করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জেলা জজ মন্ত্রীর নাজিরপুরের বাসায় গোপন বৈঠক করেন।

পরেরদিন ১লা মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম বেলায়েত হোসেন ও আইনজীবীগণ জেলা জজের সাথে আলাপ করতে গেলে তাদের কাছে মন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করেন। সাবেক সংসদ সদস্য আরও বলেন, মন্ত্রী তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবমূল্যায়ণ করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্নস্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাছাড়া তার ভাইদের অনৈতিকভাবে ঠিকাদারী কাজে যুক্ত করে কয়েক শত কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। এমনকি আলোচিত ক্যাসিনো সম্রাট জি. কে. শামীমের কাছ থেকে ৩টি কালো রং-এর দামী গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে তাঁর মন্ত্রনালয় থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে মন্ত্রীর অংশগ্রহন মিথ্যা বলে অভিযোগ করে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল বলেন, শ.ম. রেজাউল করিম ১৯৬১ সালে জন্ম গ্রহণ করেছেন। সে হিসেব অনুযায়ী ১৯৭১ সালে তার বয়স ৯ বছর। এ বয়সে তিনি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং কোথায় যুদ্ধ করেছেন তা পিরোজপুর বাসী জানতে চায়। (মানবজমিন)

৫ মার্চ ২০২০