আমি কৃতজ্ঞ, আমি ধন্য, আমি আনন্দিত, আমি আবেগে আপ্লুত। ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করতে চাই না। আমার ভাই ‘উত্তম কুমার শর্মা’। আমি চিরকৃতজ্ঞ তাঁর কাছে। আজ নিজেকে সত্যিই গর্বিত মনে হচ্ছে। আমি গরিব মায়ের ছেলে। আমি অসহায় নই, আমার মনোবল বেড়ে দিয়েছে আরেক ভাই। আমার প্রতি তাঁর ভালবাসা আর সম্মান সত্যিই আমাকে আবেগে আপ্লুত করেছে।
আমার মত সামান্য একজন মানুষকে অনেক বড় সম্মান দিয়েছে ছোট ভাই উত্তম কুমার। তাকে আমি চিনতাম না, জানতামও না। তবুও সে আমার ভক্ত, আমাকে অনেক বেশী ভালবাসে।
‘আমি দেখতে কালো, জোকার, আমার টাকা নেই, ভালো করে কথা বলতে পারি না, শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই’।
সবখানে এই কথাগুলো লিখে বা বলে অনেকেই সমালোচনা করেন। তবুও কেন আমাকে এত সম্মান ! যাদের মনুষত্ব আছে, তারা ভালো চোখে দেখতে জানে, উৎসাহ দিতে জানে। ভালবাসতে জানলে সবাই সমান, তারই প্রমাণ উত্তম কুমার। সে আমাকে ভালবাসার প্রমান দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের এম এফ এ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উত্তম কুমার শর্মা তৈরি করছেন আমার ভাস্কর্য। ইতোমধ্যে ভাস্কর্যের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
ভাস্কর্য দেখতে সরেজমিনে ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় ভবনে শিক্ষার্থী উত্তম কুমারের সাথে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার ভাস্কর্যের একটি ছবি ভাইরাল হয়।
সেই ছবির সূত্র ধরে ভাস্কর্যের সন্ধান করতে থাকি। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ফেসবুকের মাধ্যমেই ভাস্কর্যের সন্ধান পাই। উত্তম কুমার রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের নিপেন্দ্রনাথ শর্মার ছেলে।
#আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)-এর ফেসবুক ওয়াল থেকে।