আন্তর্জাতিক

রাস্তায় প্রেমিকের সঙ্গে ওবামা-কন্যার খুনসুটি

নিউইয়র্ক নগর ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বড় মেয়ে মালিয়া ওবামা। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ব্রিটিশ প্রেমিক রোরি ফারকুহারসন। দুজনই অভিজাত পরিবারের হলেও প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে নিউইয়র্কের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর সময় এই যুগলের মধ্যে দেখা গেছে চিরায়ত প্রেমের প্রকরণই।

বিখ্যাত বাবার সন্তান হওয়ার অনেক বিড়ম্বনা আছে। অবশ্য বারাক ওবামার দুই মেয়াদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ই মালিয়া বিষয়টির সঙ্গে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। গত বছরের শেষ দিকে ব্রিটিশ ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততা মালিয়াকে বিষয়টি হালকাভাবে নিতে শিখিয়েছে। আর এরই প্রমাণ হচ্ছে ২০ জানুয়ারি নিউইয়র্কের জনবহুল সড়কে নিজের প্রেমিকের হাত ধরে তাঁর ঘুরে বেড়ানো। আর দশটি প্রেমিক জুটির মতোই তাঁরা পথে যেতে যেতে মেতে উঠেছেন খুনসুটিতে।

কালো জ্যাকেট পরিহিত মালিয়া ওবামা ও নীল জ্যাকেট গায়ে রোরি ফারকুহারসনের রাস্তায় উচ্ছ্বসিত পদচারণ অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। এই যুগলের একটি ছবি দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তায় হাঁটার সময় আর দশটি তরুণ ইদানীংকালে যা করে, ১৯ বছর বয়সী এই যুগলও তা-ই করেছে। স্মার্টফোনের স্ক্রিনে কিছু একটা নিয়ে হার্ভার্ড পড়ুয়া এই যুগল মেতে উঠেছিলেন গল্পে। রাস্তার পাশ থেকেই হয়তো পানি কিনে খেয়েছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে হার্ভার্ড-ইয়েল ফুটবল খেলা চলাকালে মালিয়া ও রোরির চুমুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সে সময় থেকেই ব্রিটিশ গণমাধ্যম এই যুগলের পিছু নিয়েছে বলা যায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে রোরি ফারকুহারসন সম্পর্কে জানানো হয়, হাইস্কুল থেকেই রোরি বেশ জনপ্রিয়। ব্যাংকার বাবার অর্থের শ্রাদ্ধও এ পর্যন্ত কম করেননি তিনি। ৪২ হাজার ডলার বার্ষিক বেতনে পড়েছেন অভিজাত রাগবি স্কুলে। গলফও বেশ ভালো খেলেন তিনি, যাকে বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক হওয়ার একটি শক্ত ভিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রিয় খেলার তালিকায় রয়েছে গলফ, খেলেনও ভালো।

বড় মেয়ের এই প্রণয় নিয়ে এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বারাক ওবামাকেও। তবে তিনি এ বিষয়ে একদমই চিন্তিত নন। সন্তানেরা নিজের মতো করে জীবনযাপন করবে এটাই তিনি চান। এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য হচ্ছে, ‘এরা (নতুন প্রজন্ম) অনেক কিছুই করতে পারে। তাদের নিজস্ব জীবন রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০: ৪৫ এ.এম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮,রোববার
এএস

Share