ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের অনেকের কাছেই প্রিয় শুকরের মাংস। কিন্তু মুসলমানরা এ মাংস খান না। কিন্তু জার্মানির একটি মুসলিম সম্মেলনে দেখা গেল শুকরের মাংসের সসেজ। পরে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বার্লিনে ওই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষজনের কথা চিন্তা করে ওই খাবারগুলো বাছাই করা হয়েছিল। তবে ‘কেউ যদি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত পেয়ে থাকেন’ তাহলে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট শিহোফেরের উদ্যোগেই ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। হোর্স্ট গত মার্চ মাসে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘জার্মানিতে ইসলাম খাপ খায় না’।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, ওই ইসলামিক সম্মেলনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তি মুসলমান ছিলেন। শুকর খাওয়া ইসলাম ধর্ম অনুসারে মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে যেই সসেজটি খেতে দেওয়া হয়েছিল, তার স্থানীয় নাম ‘ব্লাড সসেজ’- যেটি শুকরের রক্ত, মাংস ও বেকন দিয়ে তৈরি করা হয়।
জার্মানির সাংবাদিক টেনচে ওযডামার এ বিষয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘শিহোফেরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চায়? যারা শুকর খায় না, সেই মুসলমানদের জন্য খানিকটা শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত।’
সাংবাদিক ওযডামার লিখেছেন, ‘শিহোফেরের এ রকম আত্মম্ভরি আচরণের মাধ্যমে জার্মানির মুসলমানদের বেশিরভাগের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না।’
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানের খাদ্য তালিকায় ১৩ রকমের খাবার ছিল। যার মধ্যে হালাল, নিরামিষ, মাংস এবং মাছ ছিল। সব খাবার বুফেট পদ্ধতিতে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল এবং কোনটা কি খাবার, তা পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল।
জার্মানির কিছু সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ২০০৬ সালে জার্মানির প্রথম ইসলামিক কনফারেন্সে হ্যাম আকারে শুকরের মাংস দেওয়া হয়েছিল।
বার্তা কক্ষ
৩০ নভেম্বর,২০১৮