রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে করা মৌখিক আবেদনের জবাব না পেয়ে এবার বঙ্গভবনে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে বিএনপি।
বুধবার(২৩ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব পেশ করতে বিএনপির প্রতিনিধি দলকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাক্ষাৎ দেবেন বলে আশা করেন দলের মির্জা ফখরুল। দেরি না করে সাহসী নির্বাচন কমিশন গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সবদলের সম্মতিতে বাছাই কমিটি গঠন এবং সে কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠনসহ ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পর প্রস্তাবটি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করতে বিএনপি চেয়ারপারসনের দপ্তর থেকে টেলিফোনে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব কিছু জানাননি। আমরা আজ আবার লিখিতভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছি।’
মহাসচিব বলেন, ‘সংবিধান সামনে রেখেই আমরা প্রস্তাবগুলো দিয়েছি। সুতরাং সংবিধান কোথাও লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। এখানে অস্পষ্টতার বা কৌশলের কিছু নেই। নির্বাচনকালীন প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারকি ক্ষমতাসহ মোতায়েনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে কোনোক্রমেই সামরিক আইন বলা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে খর্ব করার জন্য কোনো প্রস্তাব করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করার বিষয়টি সঠিক নয়।’
দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধু বিরোধিতার জন্যই খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে আমলে নিচ্ছে না সরকার। এ প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন মহলের তোলা প্রশ্নেরও জবাব দেন মির্জা ফখরুল।
অতীত প্রসঙ্গ না টেনে ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে আলোচনার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
দেশের রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে সরকারকে আলোচনার টেবিলে বসতে আবারেও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৯ :২২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার
এইউ