মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদকে নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে দণ্ডবিধির ১২৩(ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মশিউর মালেক। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আতিকুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী জবানবন্দি নেন। এর পর দুপুরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
ওই বক্তব্যে খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচার হয়। বিষয়টির উল্লেখ করে বাদী বলেন, আসামির এ ধরনের বক্তব্য শহীদদের অবমাননাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সৃষ্টি ও এর ইতিহাসের বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অপরাধের শামিল। এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৫:২৪ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার
ডিএইচ