রান্নাবান্নার কাজে গ্যাসের ব্যবহারকে অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যমান গ্যাস সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না।
জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলা ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অবশ্য রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য বিকল্প সিলিন্ডার গ্যাস আরো সহজলভ্য করা হচ্ছে বলেও জানান আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাসের যে মজুদ আমাদের আছে সেটা যৎসামান্য। এটা এত মূল্যবান যে এইটা দিয়ে ভাত, ডাল রান্না একেবারেই একটা অপচয়। ঘরের রান্না-বান্নার সামগ্রী হিসেবে এটার ব্যবহার চলবে না। এটা একদম বাদ দিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না, চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না। এটা কোনোমতেই আপনারা পাবেন না। তার বিকল্প উপায় আছে। সিলিন্ডার। আমরা এটিকে একদম সহজ করে দেব।’
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তরল গ্যাস ‘এলএনজি’ আমদানি এবং সমুদ্রে ও স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করার তাগিদ দেন অর্থমন্ত্রী।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে উত্তোলিত গ্যাসের মধ্যে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত হয় মাত্র ১২ শতাংশ।
মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পায়। গ্যাসের মজুদ সীমিত হয়ে আসছে এবং শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা হলে অর্থনৈতিকভাবে তা বেশি লাভজনক, এই বিবেচনায় এরই মধ্যে বাসা-বাড়ির নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় বাসাবাড়ির বিদ্যমান গ্যাস সংযোগ থেকেও সরে আসার আভাস দেয়। আজকের অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে তা আরো স্পষ্ট করলেন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন এবং আমদানিতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এ খাতে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘এই সেক্টরে আগামীতে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ইনভেস্টমেন্ট ডেট তৈরি হবে। এবং এ অর্থকে নিয়ে কাজ করা সে ধরনের প্রফেশনাল আমাদের তৈরি করতে হবে।’
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:০০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ