একটা মানুষ একটানা সাত না ঘুমিয়ে কাটালে মৃত্যু অনিবার্য। এ কারণে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে রাতে নিয়মিত ঘুম দরকার।
এখন প্রশ্ন হলো ঘুমটা কি রাতেই হতে হবে? আগে মানুষ কিন্তু এমনটাই ভাবতো। কিন্তু অন্তর্জালের যুগে এসে মানুষের জীবনের রুটিনই বদলে গেছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন পেঁচার মতো নিশাচর। রাত জেগে কাজ করতে পছন্দ করে।
এটাকে অনেকেই এমনকি ডাক্তাররা ক্ষতিকর বলে মনে করলেও এই রাতজাগা পাখিদের কিন্তু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। আর সেটা ইতিবাচকই।
স্বভাবগতভাবে রাত জাগা মানুষের বুদ্ধিমত্তা রাতে ঘুমানো মানুষের চেয়ে তুলনামূলক বেশি।! এরা অনেক জটিল সমস্যার ত্বরিৎ সমাধান দিতে পারে।
এছাড়া আগের যুগে মানুষ রাতে অনেক সময় ঘুমাতো। কিন্তু এখনকার মানুষ রাতে কম ঘুমায়। রাতের বেশিরভাগ অংশ জেগে কাটায়। দেখা গেছে, এই মানুষদের জ্ঞানবুদ্ধি আগের সেই যুগের মানুষের চেয়ে বেশি।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার গবেষকরা দেখিয়েছেন, যারা সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেন তাদের শক্তি সারাদিন একই রকম থাকে। কিন্তু ১০/১২ ঘণ্টার পর তাদের মস্তিষ্ক ঝিমিয়ে পড়ে। অথচ রাত জাগা মানুষের শক্তির মাত্রা রাতে অনেক বেড়ে যায়।
মিলানের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব দ্য স্যাকরেড হার্টের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাত জাগা মানুষরা অনেক সমস্যার সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে পারদর্শী।
বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব লিজের ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠেন, ওঠার সাড়ে দশ ঘণ্টা পরে তাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ ধীর হয়ে যায়। কিন্তু যারা রাত জাগেন তাদের মস্তিষ্ক তুলনামূলকভাবে সক্রিয় থাকে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:০০ এএম, ২ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ