রাতের আধাঁরে কর্তন করা হচ্ছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ রাতের আধাঁরে চুরি করে কেটে ফেলছে একটি চক্র। রেনডি, গামারি, সামবলসহ প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০-২৫টি গাছ বিভিন্ন সময়ে কেটে নেয় চক্রটি। তবে এ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পাধীন চাঁদপুর জেলার ও চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের ৯৪নং রামদাসদী মৌজার মোতালেব খার বাড়ী হইতে উত্তর দিকে তাকওয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত আনুমানিক ৫০০ ফুট কম/বেশী ভূমিতে বেড়ীর বাহির পাশে বৈদুতিক খুটি পোতার কারণে রোপিত বৃক্ষ সমূহের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্মারক নং-৪০৬/(৩৫০) প্রপাব্য/৬টি-১/০২, তাং-২৭/০৪/২০০৩) রফিকুল ইসলাম মল্লিকের নামে একটি চুক্তিনামা হয়। জমির প্রকৃত মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড।

২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চুক্তিনামার মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মল্লিক প্রায় ৩ হাজার গাছ রোপণ করেন। এর মধ্যে রেনডি, গামারি, সামবলসহ প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। বেড়ীর বাহির পাশে বৈদ্যুতিক খুটি পোতার কারণে মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক কর্তৃক রোপিত বৃক্ষসমূহ বিক্রয় করার প্রয়োজন মর্মে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাবর একটি আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে চুক্তিনামার আলোকে গাছগুলো অপসারণ/বিক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করিতে সহায়তা করার জন্য চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. রিফাত জামিল স্বাক্ষরিত পত্রে অত্র দপ্তরের কর্মরত কচুয়া পওর উপ-বিভাগ বাপাউবো এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) কে সার্বিক সহযোগিতার জন্য মনোনয়ন করা হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পাধীন চাঁদপুর জেলার ও চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের ৯৪নং রামদাসদী মৌজার মোতালেব খার বাড়ী হইতে উত্তর দিকে তাকওয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত আনুমানিক ৫০০ ফুট কম/বেশী ভূমিতে থাকা বিশাল আকৃতির গাছ স্থানীয় দুলাল খানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কেটে নিয়ে গেছে। দেখা যায়, কোন কোন গাছের গোড়া আছে গাছ নেই। আবার কোন কোন গাছের শেকড়সহ তুলে নিয়ে গেছে চক্রটি।

স্থানীয়রা জানায়, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজের মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মল্লিক প্রায় ৩ হাজার গাছ লাগান। কিছুদিন ধরে এলাকার দুলাল খাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী প্রায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে ২০-২৫ টি গাছ কেটে ফেলেছে।

এ বিষয়ে দুলাল খান জানান, ‘বাপ দাদার গাছগুলো আমরা কেটেছি। বন বিভাগ বা সরকারি কোন গাছ আমরা কাটিনি।’

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ তো দূরের কথা একটি ঢাল-পালাও কাটা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Share